
বুয়েট ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে , কেন করেছে, কবে করেছে , সে কথা সবাই জানে । গতকাল #বঙ্গবন্ধুর #শোক_দিবস উপলক্ষ্যে সাবেক #আওয়ামীলীগ করা বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র সমাজ (বয়স্ক) বুয়েটে গিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া ও মাগফেরাত কামনার জন্য । সাথে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারন । সেখানে কোন তরুন, যুব বা বর্তমান ছাত্রলীগ কর্মি ছিলো না । ঘটনা আপাত দৃষ্টিতে এতটুকুই ।
ফুসে উঠলো বুয়েটের তরুন ছাত্র সমাজ , মনে হলো তারা চোর ধরেছে, মনে হলো সাবেক এই ছাত্ররা যারা আজ বিভিন্ন স্থানে সম্মানের সাথে আসিন আছেন তারা বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করতে গিয়ে মহা অন্যায় করে ফেলেছে । তাদের তৈরি ব্যানারে কেন ছাত্রলীগ লেখা সেটা বারবার আঙুল উঁচিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে । যে ছাত্রলীগের জনক, এই বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই বিষয়কে প্রকাশ্যে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রমাণ করেছে তারা, বুয়েট এখন একটি দুর্গ হিসাবে বিরাজ করছে , যেখানে সব থাকবে, রাজনীতি থাকবে, #চক্রান্ত থাকবে, #ষঢ়যন্ত্র থাকবে শুধু ছাত্রলীগ থাকতে পারবে না । ছাত্রলীগ থাকলেই সেটা হবে #রাজনীতি। অন্যদিকে #বিএনপি কমিটি বানাবে, জা**মত , শিবি**র কমিটি বানাবে , নেতা হবে, #গোপনে_মিশন বাস্তবায়নের রুদ্ধদার বৈঠক হবে , সবই হবে ।
বুয়েট প্রশাসন এসব কি জানে না ? অবশ্যই জানে । ছাত্ররাজনীতি যদি বন্ধই হয়, তাহলে মিডিয়া এখন কি বলছে ?
আবরার হত্যার কথা বলে - তারা যে শ্লোগান দিয়েছে, সেখানে রয়েছে তাদের মূল বক্তব্য । অজান্তেই তারা শ্লোগান দিয়েছে - বুয়েটে ছাত্রলীগ দেখতে চায়না । বক্তব্য একটাই । যদিও স্লোগান ব্যাতিত যে বক্তব্য সেখানে রাজনীতি নয় কথাটা এসেছে ।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার, বুয়েটের এই সব রাজাকর , আল বদর, আল শামস , বিএনপি জামায়াত , শিবির এরা বুঝতেই পারলো না, সরকার পূর্বেই জেনেগেছে ভিতরে কি চলছে । বিষয়টা একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে সবার সামনে আনা হলো এই আর কি ।
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, তাও বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি তৎপরতা, গোয়েন্দা তৎপরতা ইত্যাদি পরিচালনা করা খুবই ঝুকিপূর্ণ । এতে সরকারের বদনাম হবার সম্ভাবনা থাকে প্রায় শতভাগ ।
কিন্তু এখন কি হলো, ওরা বুঝতেও পারলো না, ওরা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে । অতিরিক্ত দখলবাজ হতে গিয়ে ওরা নিজেরাই নিজেদের সামনে নিয়ে এসেছে । এখন আর বুয়েটে সার্চ ইঞ্জিন চালাতে সরকারকে কোন বেগ পেতে হবে না । কারন , বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ । এখন মিডিয়া সামনে এনেছে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কারা সেখানে কমিটি দিয়েছে, কারা সেখানে নেতা হয়েছে, কারা সেখানে গোপনে দেশ বিরোধি কাজে লিপ্ত ইত্যাদি সব বেরিয়ে আসবে । যেহেতু আইন আছে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, আর তাই কারা সেই আইন ভেঙে অপরাধি হয়েছে - সরকারের জন্য এটা বের করা খুবই সহজ । কারন নিজেরাই বলছে ছাত্র রাজনিতি নিষিদ্ধ, আবার নিজেরাই সেই কাজে নিয়োজিত ।
একটা জাল ফেলতেই মাছ যখন নিজেরাই এসে ধরা দেয়, তখন কি আর অন্য কারো উপর দোষ দিতে পারবে ?
সরকারের প্রতি অনুরোধ, হাড়ি ভেঙ্গে গেছে - এখন শুধু ধরার পালা । বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার অধিকার কারো নেই - সে ছাত্র হোক বা ছাত্রের বাবা মা ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিষ্ট
#মাননীয়_প্রধানমন্ত্রী #শেখ_হাসিনা #আওয়ামীলীগ #বিএনপি #পুলিশ #ডিজিএফআই #এনএসআই #সিআইডি #স্বরাষ্ট্র_মন্ত্রনালয় #বুয়েট
Daily J.B 24 / অনলাইন ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: