• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভয়াল ২১শে আগস্ট - সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু প্রতিক্রিয়া

ভয়াল ২১শে আগস্ট - সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু প্রতিক্রিয়া
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: রবিবার, ২১ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১০ এএম
ভয়াল ২১শে আগস্ট , শেখ হাসিনা, বিএনপি, জঙ্গিবাদ, জিঘাংসা

 

Khaleque Gharami

প্রাসাদ ষড়যন্ত্র কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা নজির দেখেছিল বাংলার মানুষ ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। 
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মুলের এত জঘন্য চেষ্টা পৃথিবীর কোথাও কেহ দেখেনি।
আজ সেই ভয়াল দিন❗তারেক,বাবরের সরাসরি নির্দেশনা ও ঘসেটি বেগমের প্রশ্রয়ে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল।
বাংলার মাটি থেকে ঘসেটি বেগম,তারেকদের চিরতরে বিদায় হোক  ২১শে আগস্টের অঙ্গীকার।

 

 

Babul Baidya

২১ আগস্ট শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলায় কেন খালেদা অভিযুক্ত হবেন না? -স্বদেশ রায়

২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার পরে, পার্লামেন্টে বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘ওনাকে মারতে যাবে কে?’ এমনকি তিনি এ ঠাট্টাও করেছিলেন, শেখ হাসিনা নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার জীবনটি খালেদার কাছে এমনই ঠাট্টা-মস্করার বিষয় ছিল সেদিন। এই ঠাট্টা-মস্করার মূল উদ্দেশ্য ছিল, তখনও খালেদা জিয়ারা নিশ্চিত ছিলেন যে, ২১ আগস্ট ফেল করলে কি হয়, খুব দ্রুতই তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারবেন। অন্যদিকে ২১ আগস্ট হত্যা চেষ্টায় খালেদা যে জড়িত ছিলেন তা অন্তত দু’জনের জবানবন্দী পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট হয়। মুফতি হান্নান তার জবানবন্দীতে বলে, তারা তারেক রহমানের সঙ্গে দু’বার মিটিং করে এবং তারেক তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি রুমি তার জবানবন্দীতে বলেন, তিনি খালেদা জিয়ার কাছে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ চেয়েও নির্দেশ পাননি। খালেদা জিয়ার এই তদন্তের নির্দেশ না দেয়া থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়, তারেক রহমান সামগ্রিক বিষয়টি দেখভাল করছেন, এটা তিনি জানতেন। আর জানতেন বলেই তিনি তদন্ত করতে দেননি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই জবানবন্দীগুলো এখন আসেনি। এসেছে আওয়ামী লীগ আমলে যখন প্রকৃত অর্থে মামলা শুরু হয় তার কিছু দিনের মধ্যে। এই দুটো জবানবন্দী ছাড়াও অন্যান্য জবানবন্দীতেও খালেদা জিয়া যে জড়িত ছিলেন বা তিনিই মূল মাস্টারমাইন্ড অথবা তারেক তাকে সব কিছু জানিয়ে হত্যা চেষ্টা অপারেশনটি সমন্বয় করে, এটা পরিষ্কার হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখন প্রশ্ন আসে, এই স্পষ্ট এভিডেন্স পাওয়ার পরেও কেন খালেদা জিয়াকে এই মামলার আসামি করা হলো না? এখানে কি আওয়ামী লীগ বা বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে কোন ছাড় দিতে চায়? বর্তমান সরকার বা আওয়ামী লীগ ছাড় দিতে চাইলেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের ভেতর দিয়ে যে এভিডেন্স উঠে এসেছে তাতে খালেদা জিয়াকে ছাড় দেয়ার আর কোন সুযোগ নেই। এখন দেশের আইনের শাসনের স্বার্থে অবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট দেয়ার সুযোগ আছে। আর ওই চার্জশীট অনুযায়ী নতুন মামলা চলার সুযোগ আছে- যা সকলে জানেন। বর্তমান সরকার যদি এ কাজ না করে তা হলে বুঝতে হবে, সরকার মুখে যাই বলুক না কেন, তারা খালেদার সঙ্গে কোন না কোন ভাবে আপোস করছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার তারা করছে না। তবে সরকার যদি সত্যি অর্থে আইনের শাসনে বিশ্বাসী হয়, দেশের মানুষ যদি ২১ আগস্ট হত্যার প্রকৃত বিচার চায়, তা হলে এই নতুন মামলা শুরু করার প্রয়োজন আছে। তা ছাড়া আমাদের যে সুশীল সমাজ ও আইনজ্ঞরা সব সময়ই দেশে আইনের শাসন চান, তাদেরও দাবি তোলা উচিত এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার হওয়ার। কারণ দিনের আলোতে রাজধানীতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে একটি গণহত্যা হলো এবং তার সঙ্গে দেশের সে সময়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা হলোÑ এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উদ্ঘাটন ও বিচার দেশের আইনের শাসনের জন্য প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন সংগঠন, পেশাজীবী সম্প্রদায় ও সুশীল সমাজের তরফ থেকে তাই অচিরেই দাবি ওঠা উচিত, সরকার যেন খালেদার বিরুদ্ধে এ মামলা চালু করে। কারণ এই মামলা যদি সরকার চালু না করে তা হলে সেটা হবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা থেকে দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা চালু ছাড়াও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আরও কিছু বিষয় স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যেমন র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের কাছে খবর ছিল, তৎকালীন মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাইজুদ্দিন একজন মাস্টারমাইন্ড ও অপারেশনে ছিল। এই তাইজুদ্দিনকে কার বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? সেখান থেকে কীভাবে তাকে দেশের বাইরে পাঠানো হয়? এই সহযোগীদের অবশ্যই খুঁজে বের করা দরকার। কারণ যে ঘটনায় শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল ওই ঘটনার কুশীলবদের আশ্রয় দেয়া কিন্তু সমপরিমাণ অপরাধ। এর পরে দেখা দরকার ঘটনার দিন- গোলাপ শাহ মাজারের ওখান থেকে হলুদ ট্যাক্সিক্যাবে যারা দ্রুত সরে পড়েছিল, ওরা ধানম-ির কোন্ কোন্ বাড়িতে গিয়েছিল? তারা কি শুধুই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়িতে গিয়েছিল, না তারেক রহমানের ওই সময়ে ধানম-িতে গোপনে নেয়া কোন বাড়ি ছিল কিনা- সেটাও দেখা দরকার। এ ছাড়া অন্য কোন বাড়িতে গিয়েছিল কিনা, তাও খোঁজ নেয়া দরকার। এগুলো জনগণের সামনে উন্মোচন হওয়া দরকার। বিশেষ করে দেশে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোন হত্যাকা- না ঘটে তার জন্যই এ গুলো উদ্ঘাটিত হওয়া দরকার। এ ছাড়া ওই দিন ঘটনার সময় কেন সচিবালয়ের সামনে একটি আর্মির গাড়ি ছিল? তারা কি কাজে সেখানে ছিল সেটাও জনগণের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। ওইদিন একজন সাংবাদিক হিসেবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেমন এগুলো প্রত্যক্ষ করেছি, তেমনি ঢাকা মেডিক্যালে পৌঁছে দেখতে পাই সেখানে আহতদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কার নির্দেশে সেদিন আহতদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়া হয়েছিল, সেটাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন বলে মনে করি। বাস্তবে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা বা শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টার মামলা কোন মতেই একটি সাধারণ হত্যাকা- ঘটানোর উদ্দেশ্য নয়। এটা মূলত দেশের থেকে একটি বিশেষ চিন্তাধারা বাস্তবে প্রগতিশীল চিন্তাধারার রাজনীতিকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য ঘটানো একটি ঘটনা। যেমনটি ঘটানো হয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। সে ঘটনার ভেতর দিয়ে দেশের সংবিধান এমনভাবে বদলে গেছে যে, আজও আমরা সাংবিধানিকভাবে পূর্বের অবস্থানে পৌঁছাতে পারিনি। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের ধারা থেকে দেশকে স্বাধীনতার ধারায় আনার শক্তিকে সংগঠিত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাই তাঁকে ও তাঁর সহকর্মীদের হত্যার ভেতর দিয়ে মূলত এটাই কার্যকর করতে চেয়েছিল যে, স্বাধীনতার ধারার শক্তি যেন বাংলাদেশে সংগঠিত হতে না পারে। অন্যদিকে ২০০৪ সালে যেমন শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা হয়েছে, তেমনি ২০০৪ সালে দেশের ৬৩টি জেলায় ৫২৯ স্থানে একযোগে জঙ্গীরা বোমা হামলা চালিয়ে তাদের শক্তির পরিচয় দেয়। তাই এখান থেকে বুঝতে কোন কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, ২০০৪ এ যদি খালেদা ও তারেক রহমান সফল হতেন, তারা যদি শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারতেন তা হলে এতদিনে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন হতো। ইতোপূর্বে ৯ আগস্ট প্রকাশিত এই কলামে এক মুক্তিযোদ্ধা মেজর শওকত আলী বীরপ্রতীকের সাক্ষাতকার উল্লেখ করেছি- যেখানে বেগম জিয়া যে মনেপ্রাণে পাকিস্তানী সেটা তিনি বলেছেন। এমনকি জিয়ার মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া নিয়ে তাকে গাদ্দার বলতেও দ্বিধা করেননি খালেদা জিয়া। তিনি তারেক রহমানকে নিয়ে জিয়ার সঙ্গে না গিয়ে শেষ পর্যন্ত জানজুয়ার তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানী সেনাদের সঙ্গেই থাকেন। অন্যদিকে ২০০১ এ তারেক রহমান বলেন, শিবির ও ছাত্রদল একই মায়ের সন্তান। তারেক ইঙ্গিত করেন সে মা খালেদা জিয়া। বস্তুত বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের নীতি অনুযায়ী পরিচালিত বিএনপির সঙ্গে জঙ্গী ও জামায়াতে ইসলামীর কোন পার্থক্য নেই। তার মানে এই নয় যে, বিএনপির সব নেতাকর্মী জঙ্গী ও জামায়াতের আদর্শের। নানা কারণে বিএনপি একটি বড় পার্টি হয়ে গেছে, তাই সেখানে ওই জঙ্গী আদর্শে বিশ্বাসী নয় এমন লোকও আছেন। তবে ওইদিন শেখ হাসিনা নিহত হলে বাংলাদেশ যে একটি তালেবান রাষ্ট্র হয়ে যেত, তা কিন্তু বিএনপির ওই নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও ঠেকাতে পারতেন না। সে চেষ্টা করার তারা কোন সুযোগও পেতেন না। বরং তারাও এখন চিন্তা করে দেখতে পারেন, তারা যে তালেবান রাষ্ট্র নয় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, একটি আধুনিক রাষ্ট্রে বাস করছেন এটা কেবল সম্ভব হচ্ছে শেখ হাসিনা আছেন বলেই। আজ অনেকে বর্তমান সরকারের দেয়া গণতন্ত্রে মানবাধিকারে সন্তুষ্ট নন, এ অসন্তোষ গণতান্ত্রিক সমাজের একটি অলঙ্কার। অর্থাৎ মানুষ আরও বেশি গণতান্ত্রিক, আরও বেশি মানবাধিকার চায়। মানুষের চাহিদা সব সময় অপরিসীম থাকবে। তবে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে এটা বুঝবেন রাজনীতিকরা, রাষ্ট্রনায়করা। আর যারা এখন বর্তমান গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করেন, তারাও বোঝেন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। তাই দেশ কীভাবে এগোবে সেটা শেখ হাসিনাই ভাল বুঝবেন, আবার সমাজে সমালোচনাও থাকবে। তবে আজ এই যে উদার সমাজ আছে, রাষ্ট্র আছে পাশাপাশি যে উন্নয়নের ধারা এর কোন কিছুই বাংলাদেশ দেখতে পেত না যদি ২০০৪-এর একুশে আগস্ট খালেদা-তারেকরা সফল হতো। বাংলাদেশ এতদিনে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের থেকেও খারাপ একটি দেশ হতো। সে উদ্দেশ্যেই ঘটানো হয়েছিল ২১ আগস্ট। তাই ২১ আগস্টের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা দেশের স্বার্থে ও জাতির স্বার্থে প্রয়োজন।

লেখক - স্বদেশ রায়

কার্টেসি - জনকণ্ঠ

 

 

Abdul Quyyum Shamim

ভয়াল ২১শে আগষ্ট ????
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

 

 

Enamul Hoque Enamul

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সাক্ষাৎকার.....

একজন সিনিয়র সংবাদিক এর কাছে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ২১শে আগস্ট এর ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কলংকিত এবং বর্বরোচিত ঘটনাগুলোর একটি। এই পুরো ঘটনার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন তারেক রহমান। বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকে এ ব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরপরেই আমি (সাদেক হোসেন খোকা) ছুটে যাই বিএনপির কার্যালয়ে, সেখানে আমি প্রকাশ্যে তারেক রহমানকে গালাগাল করেছিলাম। তারেক রহমানের কারণে বিএনপির সর্বনাশ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলাম। এরপর আমি বেগম জিয়ার সঙ্গে সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করি। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমি অনুরোধও করি।আমি আরও বলেছিলাম, এর মাধ্যমে রাজনীতিতে যে বিভাজনরেখা তৈরি হলো, তা প্রতিশোধের রাজনীতিকে উসকে দেবে, এর ফলে বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু বেগম জিয়া ঐ দুঃখ প্রকাশের ঘটনা শোনেননি, বরং তিনি জজ মিয়ার নাটক সাজিয়ে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

© KS Kornell

#DhakaTelevision #21AugustGrenadeAttack #GrenadeAttack #21August

 

 

Abdul Kader Manik

আজ সেই ভয়াল ২১শে আগষ্ট, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রধান বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো বর্বর হামলার ১৮ বছর। প্রজন্ম তোমরা ইতিহাস পড়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিও তোমাদের জন্য তথা বাংলাদেশের জন্য কোন দলটির পক্ষ অবলম্বন করা উচিত।

 

 

Ajoy Sarkar

২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট জঙ্গীবাদ বিএনপি জামাত জোটের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

অবিলম্বে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মাষ্টার মাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচার ও রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।

 

 

Sayed Majumder

শোক সকাল।

-------------------

২০০৪সালের ২১শে আগষ্ট বিএনপি জামায়াত জোটের শাসনামলে তৎকালীন সরকারি সহযোগিতায় ইতিহাসের জগন‍্যতম নৃশংস বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

ঘৃণা জানাই মুফতি হান্নান, তৎকালীন মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজ উদ্দিন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তারেক রহমান সহ অন‍্যান‍্য যারা এই জগন‍্য হত‍্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের প্রতি।

সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় যারা শহীদ হয়েছেন সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

আল্লাহ্ সবাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন,আমীন।

 

 

Shahid Sheikh

একুশে আগস্টের কর্নেল জামিল (১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে যে আত্নাহুতি দিয়েছিলেন) ছিলেন মাহবুব, যে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেকে আত্নাহুতি দিয়েছিলেন।

মাহবুবের বেশ টেনশন লাগছে, তাঁর চারদিকে হাজার হাজার মানুষের জনসমুদ্র। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত চারদিক। শেখ হাসিনা বক্তব্য শেষ করে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল নিয়ে ৩২ নম্বর যাবেন। এতো বিশাল জন সমুদ্র ঠেলে কিভাবে নিয়ে যাবেন মাহবুব এখন সেটাই ভাবছে। বেশ গরম লাগছে তাঁর, সদ্য অবসর নিয়েছে সেনাবাহিনী থেকে। গরমের তোয়াক্কা করছে না। মাথার ঘাম ভুরু পার হয়ে চোখে ঢুকে বেশ জ্বালাপোড়া করছে। মাহবুব বিকারহীন, সামান্যতেই অস্থির হওয়ার লোক সে নয়।

দুপুরবেলা ভাত খাওয়া হয়নি তাঁর, আজকে মেয়েটার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়া কথা, কেমন করেছে কে জানে। বাসায় আজকে ভালোমন্দ রান্না হয়েছে। নেত্রীকে বাসায় পৌঁছে দিতে দিতে রাত হয়ে যাবে। মেয়ে বলেছে "বাবা তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু, মা পায়েশ রান্না করবে"। মাহবুব ভাবলো খাওয়া দাওয়া রাতে মেয়ের সাথে গিয়েই করা যাবে।

মাহবুবের বেশ টেনশন হচ্ছে, টেনশনে পায়ের তালু আর হাতের তালু ঘামছে। মনের অজান্তেই কোমরে হাত দিয়ে সাইড আর্মস টা ফিল করার চেষ্টা করল। কিন্তু হায়! আর্মস তো নেই। বেশ কিছুদিন ধরে আর্মসের পারমিশন চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেও সাড়া পায়নি মাহবুব সহ তাঁর বাকি সহকর্মীরা। আর্মস ছাড়া গার্ড দেয়া বেশ বিপদজনক। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সবাই আনআর্মড। কেবল বুকে সাহস নিয়ে মাহবুবসহ সবাই গার্ড দিচ্ছে।

বিকেল ৫:২২ মিনিট, নেত্রী বক্তৃতা শেষে মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে নামবেন, চারদিক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে মুখর। মাহবুব ঠাঁয় দাঁড়িয়ে সিঁড়ির কোনায়। শেষ বারের মত চোখের সামনে বিশাল জনসমুদ্রের দিকে মাহবুব তাকালো। নেত্রী ৫/৬ কদম হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে নামবেন।

হঠাৎই ………………………………………………………………… দুমমমমমম! দুমমমমমমমমম দুমমমমমমমমমমমম

মোট ১৩ বার! মাহবুব ঘুরে নেত্রীর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলো।

কিন্তু বাঁম হাত টা নড়ছেনা। নিশ্চয় নার্ভ বলে কিছু অস্তিত্ব নেই। শব্দ শুনে মাহবুব বুঝে গেলো শক্তিশালী নতুন মডেলের গ্রেনেড। আর্মড ফোর্সেসে থাকার সময় এসব দেখেনি।

মাহবুবব ডান হাত দিয়ে নেত্রীর হাত টেনে গাড়ির কাছে নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণে ফুটেছে আরো ৪ টা। কান শোঁ শোঁ করছে। নিশ্চয় পর্দাটা অস্তিত্ব বিলীন। বাঁ চোখে অন্ধকার দেখছে। অপটিকাল নার্ভ স্প্লিন্টারে ছিন্নভিন্ন।

সবাই মিলে নেত্রীকে ধরে গাড়িতে তুলে দিলো।

হুশশশশশশশশশশ টাটা টা টা টা ট্যাররররররররররর করে আওয়াজ করতে করতে কি যেন কানের পাশ দিয়ে গাড়ির কাঁচে লাগলো। মাহবুব চমকে উঠলো।মাহবুবের দাঁত মুখ শক্ত হয়ে গেলো। ২/১ টা বুকে এসেও বিঁধেছে। মাহবুব চিনে ফেললো, রাইফেলটার ওজন ৪.৭৮ কেজি, ৬০০ টা বুলেট একবারে ফায়ার করা যায় তাও ১ মিনিটে। ৪০.৬ ব্যারেল লেংথ, প্রত্যেক টা বুলেটের ওজন ১২২ গ্রাম, বুলেটের ভ্যালোসিটি ২৩৩০ ফুট পার সেকেন্ড বা ৭১০ মিটার পার সেকেন্ড। ১০০ মিটার দূরের থেকে ১৫ সেন্টিমিটারে যেকোনো টার্গেট এ ফায়ার করা যায়। আর কার্টিজ হলো ৭.৬২*৩৯ মিলিমিটার। এক কথায় সাক্ষাত আজরাইল। রাইফেল টা হলো একে-৪৭।

এসব ভাবতে ভাবতে মাহবুবের বুক ঝাঁঝরা হয়ে গেলো। ফুলহাতা শার্ট রক্তে ভেজা। মাহবুবের ভালো লাগছেনা। ঘুম পাচ্ছে,বাসায় গিয়ে ঘুমাবে। মাথা ঝিম মেরে উঠলো। মাথায়ও বুলেট ঢুকেছে, একে-৪৭ এর বুলেট। এক চোখে কিছুই দেখছে না।

নেত্রীর গাড়ি বিদ্যুৎ বেগে ছুঁটছে, শেষ বুলেটটা মাহবুবের ঘাড়ের পেছন দিয়ে ঢুকে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলো। নেত্রীর গাড়ি সেইফ জোনে যাচ্ছে, তাকিয়ে মাহবুব একটা মুচকি হাসি দিলো। বিজয়ের মুচকি হাসি।

কাটা গাছের মত ধড়াম করে পিচের রাস্তায় পড়ে গেলো মাহবুব। মেয়েটা তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে, স্ত্রী পায়েস রান্না করছে, মেয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে......... মাহবুব শেষ হাসি হাসলো, এই হাসি বিজয়ের...

©Tazkia Isaba

২১/০৮/২০১৭

May be an image of 1 person

 

 

আকতারুজ্জামান খোকন

২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পর ঢাকা মেডিকেলের সবগুলো অপারেশন থিয়েটারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সরকারের নিয়ন্ত্রণে আইভি রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। দাফনের পুর্বে আইভি রহমানের পরিবারকে মাত্র তিন মিনিটের জন্য তার লাশ দেখতে দেওয়া হয়েছিল। বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পরপরই ধুয়ে ফেলা হয়েছিল সমস্ত আলামত। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল অবিস্ফোরিত গ্রেনেড গুলো। বিস্ফোরণে দিশেহারা সাধারণ মানুষের উপর চালানো হয়েছিল গুলি আর টিয়ার গ্যাস। ঘটনার দিন কোন মামলা নেওয়া হয়নি। একদিন পর মামলা হয়েছিল, আসামী করা হয়েছিল আওয়ামিলীগের কর্মীদের। একদিন পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদাজিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন। হাসিনা ব্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিল। তার দলের নেতারা এখনো এই ঘটনাকে নিয়ে নানারূপ বিদ্রুপ করে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় তারেক জিয়ার মন্তব্য এবং বক্তব্য এতোই অরুচিকর যা উল্লেখ করার মতই নয়। তারপরের ঘটনা জজ মিয়া নাটক। যা আমরা সবাই জানি। সেদিনের ঘটনায় আহত শতাধিক নারী পুরুষ নেতা কর্মীরা, তাদের গায়ে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়ে অসয্য যন্ত্রণাদায়ক জীবনযাপন করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাকে হত্যা চেষ্টার এই জঘন্য হামলাকে ঘৃণা ভরা নিন্দা অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে সেদিনের ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

 

 

Raju Ghosh Raza

২১ শে আগস্ট

তবুও জজ মিয়া নাটক!

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

ছবির সাদা শার্ট পরা মানুষটার নাম মাহবুব। পুরো নাম মাহবুব রশীদ। আর তিনি যাকে নিজের শরীর দিয়ে আগলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছবিটি ১৪ বছর আগের আজকের দিনের। ২১ আগস্ট ২০০৪। সেদিন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার পর তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেসময় মাহবুব শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে নিজে তার সামনে দাঁড়িয়ে আগলে রেখেছিলেন প্রিয় নেত্রীকে। গুলি এসে লাগে মাহবুবের গায়ে। গুলি খেয়েও এক সেকেন্ডের জন্যেও সরে যাননি নেত্রীর সামনে থেকে। শেখ হাসিনাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দিয়ে দ্বায়িত্ব পালন শেষে মাহবুব মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর এই সাবেক দেহরক্ষীর কথা কতজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী জানেন বা মনে রেখেছেন জানি না। তবে সেদিন হামলাস্থল থেকে বাসভবন সুধাসদনে ফেরার পর মাহবুবের জন্যে কান্নায় ভেঙে পড়েন শেখ হাসিনা। মাহবুবের মৃত্যুর পর থেকে তার পরিবারের সমস্ত দ্বায়িত্ব বহন করে চলেছেন তিনি।

 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

জাতীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ