
বাংলাদেশের শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ নিজ ভুবনে বিচরন করে, কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে গভীরে পৌছানোর চেষ্টা তারা করেনা বললেই চলে । যারা বলে ও শোনে বেশি, কিন্তু জ্ঞানের গভীরে যাবার ধৈর্য রাখেনা, ফলে দেশ বিরোধী সকল চক্রের তুলে ধরা কথার উপরেই তারা নির্ভরশীল হয় এবং ভুল করে প্রতিটা পদে । যার ফলে নিজ, সমাজ, দেশ সব কিছুই হয় ক্ষতিগ্রস্থ । সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা সেতুর প্রস্তাবিত টোল নিয়ে দেশ বিরোধী চক্র সোচ্চার হয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে । তাদের তুলে ধরা তথ্যের সম্পূর্ণ অংশ কখনই মানুষের সামনে বলে না। তৈরি করে গোলক ধাঁধা । তাদের ধারণা এই ধরণের নিচ কাজের মাধ্যমেই তারা দেশের ক্ষমতা অধিগ্রহন করবে ।
পদ্মা সেতু ও তার টোল বিষয়ে সঠিক বক্তব্য জানুন - অন্যকে জানাতে সহায়তা করুণ ।
পদ্মা সেতু নিয়ে উৎফুল্ল নাও হতে পারেন, কিন্তু এমন একটা অর্জন নিয়ে ক্ষোভ ও হিংসা থাকার কারণ কি? যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অব ওয়েলস সেতুর সঙ্গে পদ্মা সেতু ও এর টোলের তুলনা করে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। গঠনমূলক সমালোচনা হলে বলার কিছু ছিল না। কিন্তু তারা এই অপপ্রচার করছে তথ্য বিকৃত করে। তাদের অসততার প্রমাণ দিচ্ছি।
১. "যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অব ওয়েলস সেতুটির কথা অনেকেই জানেন ১৯৯২ সালে নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালে চালু হয়। পদ্মা সেতু থেকে প্রায় ২ কি মি বড়।"
২. ০৬ লেনের ব্রিজ ভাবা কি যায়? সেন্টারে আবার ঝুলন্ত।
৩. "এই ব্রিজ টি বানাতে খরচ হয়েছে মাত্র প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলার কিম্বা ৩৮০০ কোটি টাকার মতন।"
মাত্র প্রায় বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা থাকলেই জানা যায় যেকোনো সেতুর মূল ফ্যাক্টর হচ্ছে নদী শাসন। নদীর গভীরতার উপর ব্যয় নির্ভর করে। সেভের্ন সেতুর গভীরতা ১০ ফুট থেকে ২৫ ফুট।
পদ্মা নদীর গড় গভীরতা ২৯৫ মিটার। সেতু দুটির ব্যয়ের তুলনা কিভাবে সম্ভব?
৪. পদ্মা সেতু ও সেভের্ন ব্রিজের ব্যয়ের তুলনা অযৌক্তিক, তারপরও বিবেচনায় আনছি। ১৯৯২ সালের ও ২০২২ সালের ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের মূল্যমান কি এক? এর সহজ ও গ্রহণযোগ্য তুলনা হতে পারে স্বর্নের হিসাবকে ভিত্তি ধরলে। ১৯৯৩ সালের ৩০০ ডলার স্বর্নের মূল্য বর্তমানে ২১০০ ডলার। অর্থাৎ সাত গুণ বেশি। সুতরাং ৩৮০০ কোটি টাকার বর্তমান মূল্যমান ২৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
২৫ ফুট গভীরতার ৫.১ কি.মি. সেভের্ন সেতু বনাম ২৯৫ মিটার গভীরতার ৬.১৫ কি:মি: পদ্মা সেতু। ৩৬ হাজার কোটি টাকা কি বেশি মনে হচ্ছে?
৬.১৫ কি.মি. শুধু ব্রীজের দৈর্ঘ্য। পদ্মাসেতু থেকে মাওয়া ও জাজিরা পাড়ে এপ্রোচ রোড নির্মাণ হচ্ছে ১২.২ কি:মি:। মোট সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ করতে হচ্ছে ১৯ কি:মি:।
সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে পদ্মা সেতুতে খরচ কম হয়েছে বলা যায়।
৫. বলা হয়েছে, "টোল ছিল প্রথম দিকে ৫.৬ পাউন্ড মানে বাংলা টাকায় ৬০০ টাকা।" (১৯৯২ সাল)
এভাবেই অপপ্রচার চালিয়ে আসছে তারা। গুজব ও হাস্যকর অপপ্রচার করে বার বার ধরা পড়ার পরও লজ্জা হয় না। মগজ ও বিবেক বোধহয় আকাশে রেখে এসেছে।
"জনগন দায়িত্ব নেন চোখ খোলেন - আর কত আন্ধা হইয়া থাকবেন প্লিজ।"
https://www.facebook.com/wahid.u.nabi.1/posts/10227441294128309
আবদুল্লাহ হারুন জুয়েলের ওয়াল থেকে
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: