• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কোন মাওলানা নাই কেন ?

খালেক ঘরামী , লেখক ও কলামিস্ট 
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৪২ পিএম
Freedom Fighters, Maulana, Liberation War, Independence, Razakar, Albadar, Al Shams

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় একটি প্রশ্ন সামনে চলে আসে । নিশ্চিত ভাবে সেই ধারাবাহিকতায় অফলাইনেও তার প্রতিচ্ছবি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক । যার মূল বক্তব্য বীরশ্রেষ্ঠ বীরউত্তম কিংবা খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কোন মাওলানা নাই কেন ?

উত্তর হলো- মাওলানারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি। 


মুক্তিযুদ্ধ কি আমরা ধর্মের জন্য করেছি না বাঙালি জাতি সত্ত্বার স্বাধিকারের জন্য করেছি?মুক্তিযুদ্ধ ছিল ধর্মকে মুক্ত করার জন্য নয় বরং তা ছিল বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম।

ধর্ম নিরপেক্ষ বাঙালিয়ানা কায়েমের সংগ্রাম।যার বিরোধী ছিল অধিকাংশ ধর্মান্ধ শক্তি সমূহ।তাহলে সেখানে মাওলানা খুজে কি লাভ⁉


তাহলে তাদের কাছ থেকে কেন সার্টিফিকেট নিতে হবে।মাওলানা থাকলেই কি তা বৈধ হত আর এখন নাজায়েজ !

এই বিষয়টি পুরোপুরি জামাতের কৌশল।জামাত বা মৌলবাদীরা বিশেষ কিছু বিষয়ে উদাহরণ দিতে গিয়ে আইনস্টাইন কিংবা বার্ট্রান্ড রাসেলকে  টেনে আনে।বুঝাতে চান আইনস্টাইন, রাসেলের মত বিখ্যাত খ্রিস্টান বিজ্ঞানী বা লেখক যখন আমাদের ধর্মের পক্ষে বলেছেন,তখন এটা সত্য।


তাহলে কে বড় হল ?

খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী বিজ্ঞানী,যিনি সার্টিফিকেট দিলেন‼ দুষ্প্রাপ্য এমন প্রশ্ন ও উত্তর এর সম্পুরক প্রশ্ন ও উত্তর আসলেই কি ? 

একই  ধাচের হল মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মাওলানা খোজা।

ইতিহাস কিন্তু ভিন্ন কথা বলে।জেড ফোর্স ও কে ফোর্সের অধীনে অনেক মাদ্রাসা ছাত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছিল।দেওয়ানবাগীর কথা যার অন্যতম। 
কিছু মাদ্রাসা মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়ও দিয়েছিল।যা হয়ত পরিমাণে কম কিন্তু ফেলে দেবার মত নয়।বিতর্ক সেদিকে না নিয়ে বর্তমান সমস্যার গভীরে যাওয়া যেত।


কাজেই পদক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের চালচিত্র নির্ণয় করা যৌক্তিক নয়।মুক্তিযুদ্ধের পদক শুধু একচেটিয়া ভাবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কেন পেল সে বিতর্ক ভিন্ন। তা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আলোচনা করা যেতে পারে।
বর্তমান সমস্যা উদ্ভবের আসল কারন না খুজে ভিন্নভাবে তা মোকাবেলা করার ফলে সমস্যা গভীরে থেকেই যাবে।


মৌলবাদীদের তোয়াজ করার এতো বছরের ফল জাতি হাড়েহাড়ে উপলব্ধি করছে।হয়ত চরম কিছু ত্যাগের বিনিময়ে এই অমানিশা অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে পারে।যার জন্য আপোষ নয়,দৃঢ়ভাবে মোকাবেলার কৌশল নিতে হবে।


ন্যাপ নেতা কমরেড অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের একটি উক্তি আজ খুব মনে পড়ছে,

"পরিবারের সদস্য ভুল করলে পরিবার ভুক্তভোগী হয়,কর্মী ভুল করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়,আর নেতা ভুল করলে দেশ ধ্বংস হয়ে যায়"।


খালেক ঘরামী 
লেখক ও কলামিস্ট 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ