
বাবারা যখন বৃদ্ধ হয় তখন সন্তানই হয়ে যায় তার অভিভাবক । বাবারাও ছোট্ট সন্তানের মতো , বাধ্য শিশির মতো শাসনকে বুকে তুলে নেয় । এ যেন প্রশান্তির এক মহা সমুদ্র । সেই প্রশান্তি উপভোগ করে প্রত্যেক বাবা একফোঁটা আনন্দ অশ্রুর ত্যাগের মাধ্যমে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফারুকুল ইসলাম, দেখতে দেখতে তার ৭০ তম জন্মদিন চলে এলো । গত ৩ জুলাই ছিল তার ৭০তম জন্মদিন। জীবনের দীর্ঘ সময় পাড়িদিয়ে আসার পরে সন্তান যখন বাবা হয়ে গেছে - তখন আর ঠেকায় কে।
জন্মদিনে অভিনেতা সাব্বির আহমেদ বাবাকে জন্মদিনের উপহার দেবার মতো অনেক বড় একটি এলিমেন্ট পেয়েগেছে ইতিমধ্যে । বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই এলিমেন্ট যোগ্যতার সাথে তুলে দিয়েছেন ১৮ কোটি বাঙালির হাতে, প্রত্যেক সন্তানের হাতে। প্রত্যেক বাবাদের হাতে ।
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো সাব্বির । বাবার জন্মদিনে বাবাকে উপহার দেবে বাঙালি জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতু দর্শন । কিন্তু বাবাকে শারিরিক কষ্ট দিয়ে সেই আনন্দ উপভো করতে চায়নি সাব্বির। আর তাই হেলিকাপ্টার ভাড়া করে বাবাকে নিয়ে স্বপরিবারে বের হয়ে গেলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু দর্শনে ।
হেলিকপ্টারে বসে কেক কেটে বাড়তি আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি সাব্বির ও তার মাথার মুকুট মা , সাথে ছিলেন স্ত্রী ও কন্যা।
সাব্বির জানিয়েছেন - বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল বাবাকে সারপ্রাইজ দিব। মাঝপথে করোনা হয়েছে বাঁধা। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মনে হলো, এটাই মোক্ষম সময়। হেলিকপ্টার ভাড়া করে বাবাকে পদ্মা সেতু দেখিয়ে নিয়ে এলাম। পুরো পরিবার এই যাত্রা বেশ উপভোগ করেছি। প্রত্যেকের উচিত বাবা-মাকে এ রকম সুন্দর সারপ্রাইজ দেওয়া।’
অভিনেতার বাবা মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘হেলিকপ্টার থেকে পদ্মা সেতু দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। এটা জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সফর। আমার ছোট ছেলেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও দোয়া।
বাংলাদেশের বুকে সবচেয়ে বড় অবকাঠামোর নাম পদ্মা সেতু এই বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই । উদ্বোধনের পর এই সেতুকে এক নজর দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন।
সূত্রঃ আর টি ভি
Daily J.B 24 / পদ্মা সেতু
আপনার মতামত লিখুন: