
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী বাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অবৈধভাবে বেআইনি জনতা গঠন পূর্বক প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মোরেলগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে জরুরি সভা করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।
সভা শেষে কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী খাঁন বলেন, ‘কোন ছাত্রলীগ দেখার সময় নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে এর যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’।
প্রাপ্ত খবরে জানা যায় যে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খাউলিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে হামলা করে একদল দূবৃত্ত।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, ‘১৬ নঃ খাউলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার সাইদুর রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগের নেতৃত্বে একদল যুবক এই নারকীয় হামলা করে’।
হামলার একদিন পরে আজ সোমবার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চালিতাবুনিয়া গ্রামের হামলায় জখমী
মাহফুজের চাচা মোঃ শেরে আলম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ই মার্চ যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কয়েকজন সদস্য আলোচনা করছিলো,ঐ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরুন্নবী পরাগের নেতৃত্বে একদল যুবক সেখানে হামলা করে।
উক্ত হামলায় সন্ন্যাসী বাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র কর লাঞ্ছিত হন। আহত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আরো নয় জন।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, রবিবার রাতে ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে সন্নাসী বাজারে খাউলিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছিলো। এ ছাড়াও গতকাল সন্ধ্যায় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যাই,প্রাথমিকভাবে তদন্ত করি। সোমবার বিকেলে ১২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Daily J.B 24 / স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান লাকি
আপনার মতামত লিখুন: