• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  রবিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

মোড়েলগঞ্জে ডা. হি. হালদার কারিগরি কলেজে ভর্তি ফরম বাবদ দূর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার এসএম মোস্তাফিজুর রহমান লাকি
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩৬ এএম
ডা. হিরন্ময় হালদার কারিগরি কলেজ , দুর্নীতি , মোড়েলগঞ্জ
ফাইল ছবি

মোড়েলগঞ্জে ডা. হিরন্ময় হালদার কারিগরি কলেজ বহরবুনিয়াতে এইচ.এস,সি (বি.এম) শাখার পরীক্ষার ফর্ম পূরণ বাবদ ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে । 

অভিযোগে প্রকাশ সরকারীভাবে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধাতির ফরম পূরণ বাবদ প্রথম বর্ষের ১২৭০ টাকা, দ্বিতীয় বর্ষের ১৩৯৫ টাকা, অনিয়মিত হলে ৯২৫ টাকা ধার্য থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। 

এ ঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হলেও নিরূপায় হয়ে টাকা ম্যানেজ করে দিতে হচ্ছে।

পরীক্ষার্থীরা সরকারীভাবে শিক্ষা বোর্ড কতৃক নির্ধারিত ফিস অনুযায়ী ফর্ম পূরন করতে পারে সে বিষয়ে উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ  উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ডাঃ হিরন্ময় হালদার কলেজের অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন এইচ.এস.সি (বি.এম) শাখায় পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পূরনের জন্য ৪ হাজার ৫শ’ টাকা ধার্য করে সকল পরীক্ষার্থীদের ধার্য টাকা জমা দিয়ে ফরম ফিলাপ করতে জানিয়ে দেন। 

এ ঘটনার পর পরই বুধবার কলেজে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। 

পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্ভুত অস্বস্তিকর  পরিস্থিতি সামলিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ হাজার টাকা ধার্য করে পুনরায় ফর্ম ফিলাপ শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার ফর্ম ফিলাপ করেছেন পরীক্ষার্থী নিরব আকন, সালাউদ্দিন খান, মফিজুল মুন্সি সহ একাধিকরা। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ধার্যকৃত এ ৩ হাজার টাকা ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে এলাকার দিনমজুর, কৃষক, দরিদ্র অভিভাবকদের কাছে।

ক্ষোভের সাথে অভিভাবক বজলু মুন্সী, আলমগীর খান, ফারুক আকন সহ একাধিকরা বলেন, শিক্ষা বোর্ডের ধার্যকৃত ফিসের পরিবর্তে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে যা অনেক কষ্টে যোগাড় করে সন্তানের ফর্ম পূরণ করতে হয়েছে।

প্রতিবাদ করলে অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়।

 
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জ, মাসিক বেতন সবকিছু মিলিয়ে ফরম ফিলাপের সময় নেওয়া হয়। ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত নয়।

বিষয়টি ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্ততায় সমাধান করা হয়েছে।

 
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন তালুকদার বলেন, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের অভিযোগে ফরম পূরনের অতিরিক্ত ধার্য্যকৃত টাকার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। 

এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের ধার্যকৃত টাকা নেওয়া হচ্ছে না। কলেজটি অধ্যক্ষের খামখেয়ালিপনায় শিক্ষা ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। উপজেলা মাসিক সভায় এ কলেজের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তোলা হয়েছে।

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ