
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতনা ক্ষিপ্ত তার চেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত ভেড়িয়া সাংবাদিক ও মিডিয়া । মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নাক গলানোর জবাবে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্তরে যতনা ক্ষিপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তারচেয়ে অনেক বেশি ক্ষিপ্ত ভেড়িয়া সাংবাদিক, মিডিয়া ও ইচড়ে পাকা লেলিয়ে দেয়া যুবক।
প্রথম আলো ও ডেইলি ষ্টার সেই সাথে বিদেশে নির্বাসিত ভেড়িয়া সাংবাদিক ইনিয়ে বিনিয়ে অনেকটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে নেতি বাচক হিসাবে তুলে ধরে উত্তেজিত করছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তাদের কমন ইস্যু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছে, সুষ্ট নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছে আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঠিক আচরন নিয়ে কথা বলেছে।
বলার অপেক্ষা রাখেনা এগুলো সবই কমন কথা আন্তর্জাতিক মহলের। তাদের বক্তব্য এটাই হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের বক্তব্য চাপিয়ে দেবার কোন ক্ষমতা নেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কমান্ড ও কন্ট্রোলের উপর, সেটাই বাংলাদেশের পপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে এবং সেটা বলতে গিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজের ঘরে আগে দেখতে বলেছে। একই সাথে তিনি সাংবাদিকদের বলেছে তারা যেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের দেশের বেহাল অবস্থার প্রশ্নগুলো করে।
ভেড়িয়া সাংবাদিকগণ ও মিডিয়া এতেই ক্ষিপ্ত। কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রশ্ন মার্কিনীদের করবে? অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এমন প্রশ্ন করার সাহস বাংলাদেশ দেখাক সেটা তারা চায়না। আসলে এখানেও সেই শেখ হাসিনা বিরোধী মনোভাব প্রকট। #শেখ_হাসিনা সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে প্রশ্ন ছুড়তে পারে, এবং সেই ধরনের কুটনৈতিক সক্ষমতা হাসিনা সরকারের হোক বা হয়েছে এটা এই ভেড়িয়া গোষ্ঠী কিছুতেই মেনে নিতে চাইছে না। কোন দিক থেকে যখন শেখ হাসিনাকে আটকানো যাচ্ছে না, তখন এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে? কতটা মেরুদন্ডহীন হলে, কতটা ক্লিব লিঙ্গের হলে নিজের দেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া যায়। দলাদলি, মতামতের পার্থক্য, আদর্শিক পার্থক্য থাকবে, রাজনীতির এটাই নিয়ম। কিন্তু নিজের দেশের বুক চিতিয়ে কথা বলাকে ইস্যু হিসাবে নিয়ে যখন অন্যদেশের তাবেদার হয় কেউ তখন তাকে আর যাই বলা যাক, মানুষ বলা যায়না। তাকে রাস্তার নেড়ি প্রানিদের সাথে তুলনা করা যায়। জাতীয় ইস্যুতে একটি দেশ যখন এক হতে পারেনা সেই দেশ গণতন্ত্র আশাকরে কি ভাবে? সেই দেশে একটি মাত্র শাসন ব্যাবস্থা জরুরি, যার নাম ভয়ংকর ডিক্টেটরশিপ। লাঠির আগায় রেখে রাজ্য চালনা একমাত্র ঔষধ।
এই ভেড়িয়া সাংবাদিক দল ও মিডিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিতে গিয়ে নিজের দেশের সক্ষমতাকে বিক্রি করতে একপায়ে খাড়া। আর এরাই বলে, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা তাদের দেয়া হোক। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, দুনিয়ার যে কোন দেশ, অন্য যে কোন দেশের নির্বাচনে ভাল ভাল কথা বাহ্যিক ভাবে বলবে সেটাই কুটনৈতিক শিষ্টাচার। কিন্তু তারা সেই দেশে তাদের দাসপ্রথা চালু করতে যে সরকার পছন্দ সেটাই বেছে নেবে এটা হল কুটনৈতিক দর্শন। যে দেশ নিয়ে কথা বলবে, তারা তাদের মেরুদণ্ড সোজা রাখতে অন্য কোন দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেবানা সেটা হলো ঐ দেশের কুটনৈতিক সক্ষমতা।
উল্লেখিত এই সকল বিষয়ের সাথে মানবাধিকার, সুষ্ঠ নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরনের কোন সম্পর্ক নেই। বিদেশি প্রভুদের কুটনৈতিক শিষ্টাচার দেখে গদগদ হলেই ইরানের সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে যা হয়েছিলো, তুরস্কের সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে যা হয়েছিলো, সমগ্র আফ্রিকা জুড়ে যা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটেছে ও ঘটছে, ইউক্রেনে যা ঘটছে, বাংলাদেশেও তাই হবে। এই সাধারণ কথা যদি মাথায় না আসে কেবল তার পক্ষেই সম্ভব ভেড়িয়া সাংবাদিকতা করা, ভেড়িয়া মিডিয়া হওয়া, ভেড়িয়া যুবক হওয়া। ভেড়িয়া রাজনীতিবিদ হওয়া।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বলতে চাই - বাংলাদেশ চলবে বাংলাদেশের কথায়। কোন বিদেশি মাথামোটার কথায় নয়, বিশেষ করে যাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে, সাধারণ যুবকরা ভোট দিতে যায়না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ঠুর, নির্মম। তাদের কোন যোগ্যতাই নেই অন্যদেশ নিয়ে কথা বলার। কারন দেশটি স্বাধীন, তাদের নিজস্ব মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর সক্ষমতা রয়েছে। ভেড়িয়া সাংবাদিক ও মিডিয়া, ইচড়ে পাকা যুবক যতোই হাস পাস করুক কোন কাজ হবে না। এটা বাংলাদেশ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনা।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: