
অনেক গবেষণা করে, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মার্কিন ও বাপাংকিস্তানের মেধায় পরিচালিত বিএনপির ১ম পর্বে যুগপৎ আন্দোলনের মাঠে ছিলো দেশ ব্যাপী গণ সমাবেশ ও অনলাইনে ছিলো জ্বালানী, বিদ্যুৎ, পদ্মাব্রিজ, ব্যাংকিং সেক্টর সহ নানামুখি গুজব ছড়িয়ে দেয়া । একি সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে অত্যান্ত স্পর্শকাতর কর্মসূচী ।
বলাবাহুল্য তারা প্রত্যেকটি অধ্যায়ে সুপার ফ্লপ । প্রমাণ হিসাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সারাদেশের কথা বলে তাদের ক্ষমতা ছিলো ৫টি অঞ্চলে সমাবেশ করার । যেসকল স্থানে সমাবেশ হয়েছে, সেই সকল প্রত্যেকটি অঞ্চল ছিলো বিএনপির ঘাটি । ফলে মনোনয়ন বানিজ্যে বাজারদর বাড়াতে উক্ত এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশিদের (এক একটি স্থানে একের অধিককে মনোনয়ন দেবার লোভ দেখিয়ে) পকেট কেটে ও বিদেশি ডোনেশনে উক্ত এলাকা সমূহে বড় ধরনের শোডাউন করার ভাবনায় #বিএনপি ছিলো স্বপ্নে বিভোর ।
সেই স্বপ্নে যে ময়লা নর্দমার পানি এসে পড়েছে সেটা বুঝতে হলে বেশিদুর যেতে হয় না । বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের ২য় পর্বের বৈঠকেই তার প্রমান মেলে । অর্থাৎ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের সমাবেশের যথেষ্ট স্পন্সর না পাবার কারনে হয়তো তাদের দেশব্যাপী সমাবেশের কর্মসূচী এখানেই শেষ । হয়তো হলেও দেখানোর জন্য আরো ২/১ টি দেখা যেতে পারে । কিন্তু বিপত্তি বেধেছে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ ।
আমরা জানি বিএনপি ডিসেম্বর ১০ তারিখের পরে কি হবে সেটা পূর্বেই গলা ফাটিয়ে প্রকাশ করেছে । হাতে যে সময় আছে , এবং সভাসমাবেশের জন্য আয় ও ব্যায়ের হিসাবে দৈন্যতার যে রূপ, সেখানে দাঁড়িয়ে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ ঢাকায় লোক সমাগম করতে তাদের অবস্থা নাজেহাল । লন্ডনে তারেক_রহমান হাতে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে আছে । বিএনপির ৫টি সমাবেশ থেকে যে আয় তথা মনোনয়ন বানিজ্যের যে আয় নিশ্চিত ভাবেই সেই বিষয় তারেক রহমান কে খুশি করতে পারেনি । আর তাই তারেক রহমানের হতাশ হবারই কথা । যার ফলে হাতে যে অর্থ আছে সভাসমাবেশের জন্য সেটা ডিসেম্বরের ১০ তারিখের জন্য বরাদ্দ করা ছাড়া পথ নেই ।
প্রশ্ন হলো- বিএনপি কি ১০ তারিখে এই স্বল্প পুজি নিয়ে , ৫টি সমাবেশের দৈন্যদশা নিয়ে, মনোনয়োনের প্রতি উৎসুক জনতার লোভ কমে যাওয়ার তকমা নিয়ে ঢাকায় কি সমাবেশ করবে ?
এই সকল বিষয় নিয়ে বিএনপির রাজপূত্র তারেক রহমান কি সিদ্ধান্ত নেবে বোঝা যাচ্ছে না । তবে মন বলছে - ডিসেম্বরের ১০ তারিখের ঘোষনা, এবং তারপর কি হবে - এই সব বিষয় আগাম গলা ফটিয়ে বলাটাই বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে । এমনকি হতে পারে ঐ দিন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসবে নতুন মোড় । যেখানে শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প কেউ কথা বলার সাহস পাবে না ।
কি আসছে ২য়পর্বে ? বিএনপি কোন ছকে এগিয়ে যাবে ?
যাই কিছু করুক , যুগপৎ আন্দোলনের পূর্বশর্ত মানেই ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে দেয়া । কিন্তু এটা পরিস্কার বিএনপির সেই ক্ষমতা নেই । তাহলে? বিএনপি কি নির্বাচন করবে না ?
অবশ্যই করবে । নির্বাচনে আসা ছাড়া বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা মুশকিল । এখানেই সেই ফ্রাকশান । এখানেই সেই চুম্বক অংশ হতে পারে বলে মনে করি । যা বলেছি ১ বছর আগেই । আমি বলেছিলাম- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম গঠনতন্ত্র থেকেই বাদ দিয়ে নতুন বিএনপি নির্বাচনে আসবে , আসতে হবে ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: