
কয়েকদিন থেকে আবরারের পাশাপাশি বুয়েটের আরেকটি নাম আলোচিত হচ্ছে - রেহান আহসান। রেহান সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা আমলে নিলে তাকে জঙ্গি বলতে হবে।
বলা হচ্ছে, ৫ই মে ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বরে যে সমাবেশ করেছিল, তাতে অংশগ্রহণ করে গুলিতে নিহত হয়েছে রেহান।
প্রত্যক্ষ করার প্রসঙ্গ বাদ দিলাম, ২০১৩ সালের ৬ মে'র যেকোনো পত্রিকা পড়লেই জানা যায় - ৫ মে সকাল থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একটি অংশ তাণ্ডব চালিয়েছিল। নারী সাংবাদিক থেকে নিরীহ গাছও তাদের হামলা থেকে রক্ষা পায় নি। কোরআনও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে হেফাজতের নেতাকর্মীরাই দাবি করেছে, জামাত শিবির এ তাণ্ডবের জন্য দায়ী। তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিল।
https://amp.dainikamadershomoy.com/post/311934
প্রশ্ন হচ্ছে, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে বুয়েটের ছাত্র রেহান যাবে কেন?
তার মানে রেহান কি শিবির ক্যাডার ছিল?
রেহানের বোন ফারিয়া স্মরণী হেফাজতের ১৩ দফাপন্থী হলেও পর্দা-হিজাব কিছুই করেন না। আধুনিকতার আড়ালে হেফাজতি দরদ। মেয়েদের লেখাপড়া ক্লাস থ্রি-ফোরে সীমাবদ্ধ রাখার আন্দোলনে তার ভাই জীবন দিলেও, তিনি আল্লামা শফীর ভাষায় চাকরী তথা জেনা করেন।
রেহানের মৃত্যু সম্পর্কে স্মরণী সত্যি বলছে নাকি তার মা মিথ্যা বলেছে সেই প্রশ্নও আসবে।
প্রথম আলোর রিপোর্ট:
বুয়েটের ছাত্র রেহান গিয়েছিলেন সংঘর্ষ দেখতে: বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র রেহান আহসান নওগাঁ শহরের মধ্যপাড়া মহল্লার ব্যবসায়ী এ কে এম মামুন আহসানের ছেলে। রেহানের মা ইফ্ফাত আরা বলেন, ‘আমার ছেলে ধর্মপ্রাণ ছিল, অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করত। মৃত্যুর পর রেহানের বন্ধুরা আমাদের জানায়, তারা পুলিশ ও হেফাজতের সমর্থকদের গন্ডগোল দেখতে গিয়েছিল।’ রেহানের চাচা জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুম জানান, ‘রেহান কোনো রাজনীতি করত না। আমরা পারিবারিকভাবে সবাই ধার্মিক ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমাদের পরিবারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সব দলেরই লোক আছে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যেন লাশ নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ না পায়, তাই সোমবার রাতে লাশ পৌঁছামাত্র দাফন সম্পন্ন করেছি।’
https://cutt.ly/hJ8nuTE
কা-ফের জামাতে ইসলামী ও মূল ইসলামের মধ্যে পার্থক্য:
আপনি ইসলামের বাণী প্রচার করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সরকার থেকে বলা হলো - আপনি এখানে ইসলাম প্রচার করতে পারবেন না।
ইসলামী অনুশাসন মোতাবেক আপনাকে সেই স্থান ত্যাগ করতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি আবু আলা মর্দুদী প্রণীত ইসলামের আলোকে এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে জেহাদ করেন এবং পুলিশের গুলিতে নিহত হন তাহলে:
জাহিলরা শহীদ বলবে। কাউকে শহীদ ডাকতে নিষেধ করেছেন রাসুল (সাঃ)।
ইসলামে এই মৃত্যুর কোনো তাৎপর্য নেই। বরং বিশৃঙ্খলা করলে কোরআনেই কতলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটাই আরবের ইসলাম। (এ বিষয়ে ইউটিউবে আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বক্তব্য রয়েছে)
তবে এই পন্থা অগণতান্ত্রিক তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: