
সীতাকুণ্ডুতে আগুন লেগেছে এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনটাই সত্য প্লাস্টিক কন্টেইনার গুলো ফেটে মাটিতে পড়েছিলো ।
এটাও সত্য দাহ্যতার কারনে প্লাস্টিক গলে যাবার কথা ছিলো, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি ।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দাহ্য পদার্থ হিসাবে হয়তো তালিকাভূক্ত নয় তাই সেটা নিয়ে কথা না থাকলেও এট সত্য যে, এই সকল কন্টেইনার ডিপোর মধ্যে থাকার কথা ছিলো ।
এটাও সত্য যে, উক্ত ডিপোতে দাহ্য পদার্থ রাখার কোন লাইসেন্স নেই (মিডিয়া তাই বলছে) । হয়তো হাইডড়োজেন পার অক্সাইড দাহ্য হিসাবে তালিকাভুক্ত নয় তাই সেখানে দোষের কিছু নেই ।
কিন্তু এটাও সত্য হাইডড়োজেন পার অক্সাইড ভরা কন্টেইনার বাইরে খোলা আকাশের নিচেই ছিলো । গার্মেন্টস আইটেম ভরা কন্টেইনার তার সাথেই ছিলো ।
এটাও সত্য যে, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড চরম দাহ্য পদার্থ না হবার পরেও সেখানে যে বিস্ফোরন হয়েছে সেটা দেখে বলার উপায় নেই যে, এখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কন্টেইনারে মারাত্মক কোন বিস্ফোরক দ্রব্যের উপস্থিতি ছিলো না। যার ফলে মানুষ মারা যাবার পাশাপাশি - সকল গার্মেন্টস আইটেম পুড়ে শেষ হয়ে গেছে ।
তাহলে এটাও সত্য - বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে অর্থাৎ অর্থনীতিকে আঘাত করা হয়েছে সুকৌশলে । একিসাথে বড়ধরনের মৃত্যুপূরী তৈরি করে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে শতভাগ ।
কিন্তু সত্য এটাই - সকলেই দৃষ্টি দিয়েছে মালিক কে, চেয়ারম্যান কে, তাকে নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা ইত্যাদির দিকে । মাঝখান থেকে কিছু একটা আড়ালে চলে যাচ্ছে - যেখানে রয়েছে আসল সত্য ।
কিন্তু সেটা কি ? ????
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: