• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিশু কণ্যাকে অপহরণের ভয় দেখিয়ে মাকে একাধিকবার ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার এসএম মোস্তাফিজুর রহমান লাকি
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৯ এএম
শিশু কণ্যা অপহরণ,  মাকে একাধিকবার  ধর্ষণ , নড়াইল ,  লোহাগড়া ,

 

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মোঃ সোহাগ কাজী নামে এক যুবক দুই সন্তানের এক জননীকে তার শিশু কন্যাকে অপহরণের হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ এনেছে ভুক্তভোগী সেই নারী। 

অভিযুক্ত সোহাগ কাজির বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে  মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নারী । 

 

২৩ জুলাই লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা নম্বর ১২/১৪১। সোহাগ কাজী পিতাঃ মুনছুর কাজী,গ্রামঃ চাচই,থানাঃ লোহাগড়া, জেলাঃ নড়াইল, বলে জানা যায়। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়,ঐ ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ঔষধ  কোম্পানিতে চাকরি করায় তার মেয়েকে নিয়ে সে ঐ ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে থেকে তার মেয়েকে সিডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া করতো।

 

২০১৯ সালের জুলাই মাসে চাচই গ্রামের মোঃ কাশেম কাজীর মেয়ে শিরিনা খানম এর সাথে পরিচয় সূত্র মোবাইল নম্বর লেনদেন হয়। এরপর শিরিনার কাছ থেকে তার চাচাতো ভাই সোহাগ কাজী মোবাইল নম্বর নিয়ে ওই গৃহবধূর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন সময়ে ফোন করে তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুকর্মের প্রস্তাব দিতে থাকে। এক পর্যায়ে রাজি না হলে তার কন্যা মিমকে অপহরণের হুমকি দেয় এবং এর কিছু দিন পরে সোহাগ ও  তার বন্ধু একই গ্রামের আকবর শেখের ছেলে নয়ন শেখকে মোটরসাইকেলে নিয়ে ওই নারীর স্বামীর বাড়ি গিয়ে তার সাথে বাইরে গিয়ে দেখা না করলে তার শিশু কন্যাকে অপহরণের হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

 

২০১৯ সালের অক্টোবরের ২৫ তারিখে হঠাৎ সোহাগ কাজী ওই নারীকে ফোন করে রাতে দেখা করতে আসবে জানায় এবং এ বিষয়ে কাউকে বললে ওই বধুকে এ্যাসিড মারবে ও শিশু কন্যাকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে রাতে এসে ধর্ষন করে এবং ওই দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে কয়েকদিন পর ঐ নারীর মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়ে বলে তার কথা না শুনলে তার স্বামীকে ও নেটে ওই ভিডিও ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করবে।

 

এরপর থেকে সোহাগ তার সুবিধামতো তাকে জোর করে ধর্ষণ করতে থাকে। এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, তখন ওই নারী গর্ভবতী ছিল কিন্তু সোহাগ একসময় গর্ভের সন্তান তার বলে দাবি করে এবং ওই ভিডিও তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিলে ২১ সালের ফেব্রুরায়ী মাসের ২৭ তারিখে ওই নারীকে তার স্বামী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ২০২১ সালের ১৪ মার্চ তারিখে তাকে তালাক প্রদান করেন।

এটাকে পুঁজি করে সোহাগ ঐ নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করিয়ে ১ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্লাকমেইল করে ওই গৃহবধূর কাছে থাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ও হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর থেকে সোহাগ কাজী পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

 


লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন মামলার বিষয়টা তিনি নিশ্চিত করে বলেন,  আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যেকোন সময় আসামি গ্রেফতার হবে। ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে নিরাপদে আছে।

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ