
"যত দোষ নন্দঘোষ"--বঙ্গ সমাজের এ বহুল প্রবাদটি কার কথা জানিনা তবে তাঁর বদৌলতে নন্দ ঘোষকে আমরা ভালভাবেই জানি। সব কাজ করলেও যার সুনাম করার কেউ থাকেনা,উপকৃত হবার পরও যার প্রতি কেউ ন্যুনতম কৃতজ্ঞতাবোধ দেখানোর প্রয়োজন মনে করেনা, যাকে উৎসাহ দেবার কেউ থাকেনা নিজের দোষে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দোষটা যার উপর চাপাতে সবাই অভ্যস্ত -তিনিই আমাদের নন্দঘোষ। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা নন্দঘোষের ভাগ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন।
অফিস আদালতে আপনি ঘোষ খাবেন,মানুষকে হয়রানি করবেন, দোষ আপনার হবেনা, হবে শেখ হাসিনার।আপনি ব্যবসার নামে সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম জনগনের নাগালের বাইরে নিয়ে যান, আপনার কিছু হবেনা দোষটা হবে শেখ হাসিনার।আপনি হাসপাতালের সরকারী ঔষধ চুরি করেন,সরকারী গুদামের খাদ্য চুরি করেন,মাদকের বেসাতি করে যুব সমাজ ধ্বংস করে দেন,পথে ঘাটে মানুষের পকেট কাটেন,হাইজ্যাক করেন,ইভটিজিং করেন এসব অপকর্ম দমনের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার যাদের বেতন দেয় তারা দায়িত্ব পালন না করে অপকর্মের সহযোগী হোন কারো কোন দোষ নেই যত দোষ শেখ হাসিনার।সরকারের খরচে ডাক্তারী পড়ে সরকারের বেতন গ্রহন করবেন,কাজ করবেন প্রাইভেট ক্লিনিকে, ব্যাক্তিগত চেম্বারে, মুমুর্ষ রোগী আর লাশ জিম্মি করে টাকার অংক কষবেন কোন দোষ নেই, দোষ শেখ হাসিনার।
বন্দর পরিচালনার রক্ষার দায়িত্ব পেয়ে বন্দর খাবেন,রেলের দায়িত্ব পেয়ে রেল খাবেন,বন রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে বনখেকো হয়ে ওঠবেন, শিক্ষকতার মহান পেশা নিয়ে দিনরাত প্রাইভেট পড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে ক্লাসে ঝিমাবেন কোন দোষ নেই, সব দোষ শেখ হাসিনার।ছাত্র রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজী করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে প্রান হারাবেন,ঠিকাদারী করে টেন পার্সেন্ট ঘোষ দিবেন,ফরটি পারসেন্ট কাজ করবেন ফিফটি পারসেন্ট পকেটে ভরবেন,যাদের দেখার দায়িত্ব তারা তাদের পার্সেন্টেজ খেয়ে বোবা হবেন, নাদুস নুদুস শরীরে বাহারী পোশাক পরে অন্যের যৌনতায় অনবরত সুঁড়সুঁড়ি দিতে দিতে ধর্ষিত হয়ে যাবেন,মসজিদ মাদ্রাসায় ইমাম, হুজুরেরা বলাৎকারে মেতে ওঠবে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্যকে পদে চেয়ারে বসাবেন, সে অযোগ্য ক্রমাগত নষ্টের জন্ম দিয়ে যাবেন কোন অসুবিধা নেই, সব দোষ শেখ হাসিনার।
রাজনীতির নামে যতসব অপকর্মে জড়াবেন,রাজনীতিকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার বানাবেন, আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ গরু ছাগল পুড়িয়ে মারবেন,সরকারী স্থাপনা ধ্বংস করে দেবেন, ক্ষমতায় গেলে জনগনের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় তহবিল,এতিমের হক সব লুটেপুটে খাবেন,বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে রাস্তাঘাট অচল করে নাশকতা চালাবেন, নিজের কর্মের কারনে নিজে ভোগবেন তাতে আত্মশুদ্ধি আত্মোপলদ্ধির কোন প্রয়োজন নেই, সব দোষ শেখ হাসিনার।লটারীতে মার খেয়েছেন,সুদের টাকা উদ্ধার হয়নি,রাতারাতি কোটিপতি হবার লোভে পথে বসেছেন,চোরাপথে বিদেশ যাবার জন্য দালালের হাতে সর্বশান্ত হয়েছেন সব দোষ শেখ হাসিনার।
শেখ হাসিনা কতবার নিশ্চিত প্রান নাশের পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন একবার ঠান্ডা মাথায় বিবেক দিয়ে ভেবে দেখেছেন?প্রানটাকে এভাবে হাতের মুটোয় করে দুনিয়ার বুকে কেউ জনগনের জন্য দেশের জন্য কাজ করে যায় অবিরাম, শেখ হাসিনা ছাড়া দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির নাম খুজে পাবেন কি?বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক পরিবার এমন মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রাজনীতি করেন কি?দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করন,অবকাঠামোগত উন্নয়নের স্বর্নযুগের সুচনা,মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি,রিজার্ভ বৃদ্ধি,দেশের ভাবমুর্তির উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন,পার্বত্য চট্টগ্রাম,সিটমহল, সমুদ্র,স্থল, সীমানার মত ক্রনিক রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের মত দৃষ্টান্ত আর কারো আছে কি?সব দায়িত্ব কি শেখ হাসিনার? জনগন কিংবা আর কারো কি কোন দায়িত্ব নেই?জনগন যার যার অবস্থান থেকে সজাগ সোচ্ছার হলে শ্রেনী শোষন হয়রানি থাকতে পারেকি?জনগনের ইমানি দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসুন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: