
কবিঃ বাবুল হোসেন বাবলু পিতাঃ নূরুল ইসলাম মাতাঃ সখিনা খাতুন গ্রামঃ ইয়ার পুর পোস্ট -খিল বাইছা উপজেলাঃ জেলা -লক্ষ্মীপুর জন্মঃ ০১-১২- ১৯৬৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার ইয়ারপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে কবির জন্ম।
স্থানীয় পালের হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। দালাল বাজার নবীন কিশোর হাই স্কুল হতে মাধ্যমিকে অধ্যায়ন ও ১৯৭৭ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডর অধীন এস এস সি পাশ করার পর লক্ষীপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় পারিবারিক আর্থিক সংগতির স্বার্থে পড়ার মাঝে ছেদ টেনে বিদেশ পাড়ি জমান। ভ্রমণের সখ আজন্ম।
বন্ধুবর এক সময়ের লেখক -সম্পাদক- ফেনী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এর অধ্যাপক মনির বিদ্যুতের প্রেরণায় লেখালেখি শুরু করেন । স্থানীয় পত্র পত্রিকায় লেখার অভ্যেস ছিলো অল্প বয়স থেকে ।প্রবাস জীবনেও জাতীয় দিবস গুলোতে নাটক -কবিতা লিখে সুনাম অর্জন করেন ।দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত কর্ম ব্যস্ততায় লেখালেখি থেকে দূরে থেকে পরবর্তীতে স্ত্রী -সন্তানদের উৎসাহে ও ফেসবুকের বদৌলতে নতুন করে লেখালখি শুরু করে অল্প সময়ে পাঠকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন । বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে কবির সহস্রাধিক কবিতা বিজয়ীর তালিকায় এসেছে -ভূষিত হয়েছেন “কাব্য জ্যোতি ”সন্মানে। বৈষম্য মুক্ত সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী কবি মানবিক চিন্তা চেতনা মনে প্রাণে ধারণ করেন - যা তাঁর রচনাবলিতে দৃশ্যমান।
জীবনের বেশীর ভাগ সময় দেশ বিদেশে কাটান। বর্তমানে পঞ্চগড়ে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনে খুব হাসিখুশি সজ্জন ব্যক্তি কবি বাবুল হোসেন বাবলু । পত্র মিতালীর সুবাদে প্রেম করে দিনাজপুরের সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা রাজিয়া খাতুন শশীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ০৮-০৮-১৯৮৮ তে। দুই পুত্র সন্তান নিয়ে কবির সুখি পরিবার । নিভৃতচারী কবি অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত। এই পর্যন্ত কবির একাধিক যৌথ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয় -শোকাবহ আগস্ট কবিতা প্রতিযোগিতা
.
আসতো যদি ফিরে
বাবুল হোসেন বাবলু
.
০১-০৮-২০২২
.
শতাব্দী পূর্বে যে নক্ষত্রটি উদিত হয়েছে বাংলার আকাশে,
দীপ্তি ছড়ায় আজও আলোর বর্তিকা হয়ে হৃদয়ের আবাসে।
বসুধা মাতার পূত পুষ্প কাননে ফুটেছিলো যে সুগগ্ধি ফুলটি,
আপন সৌরভে সুরভিত স্বমহিমায় গন্ধ বিলায় আজও সেটি।
আজীবন মা মাটি জনগণের গান গেয়েছেন যে মহান শিল্পী,
পদ্মা মেঘনা যমুনার স্রোতে তাঁর সুরের রেশ কাটেনি অদ্যাপি।
টুঙ্গিপাড়ায় উদিত তপন বিকিরণ ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বময়,
মুজিব নামের বঙ্গ পিতা চিরদিন রবে বরণীয় অমর অক্ষয়।
জন্মশতবর্ষ পরেও যার বাণীর দীপক হস্তে চলছে বাঙালি,
হৃদয়ে খুদিত জাতির পিতাকে বাঙালি কী করে যাবে ভুলি।
শ্রদ্ধা ভালোবাসার অঞ্জলি অর্পণ তাঁর জন্মদিনে শতবার,
আসতো যদি ফিরে বাঙালির বীর সেনাপতি আরেকটি বার!
দেখে যেতো শ্যামল সবুজে বেষ্টিত সোনার বাংলার রূপ,
অতৃপ্ত আত্মা শান্ত হতো দেখে, চির বঞ্চিত বাঙালির মুখ ।
Daily J.B 24 / শোকাবহ আগস্টের প্রতিযোগিতা
আপনার মতামত লিখুন: