
লক্ষ্মীন্দরের লোহার তৈরি বাসর ঘরেও নাকি সুক্ষ্ম ছিদ্র রাখা হয়েছিলো এবং সেই সুক্ষ্মপথেই প্রবেশ করেছিলো বিষাক্ত সাপ। লোহার নির্মিত ঘর লক্ষ্মীন্দরকে আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই বলেছেন, প্রত্যেক মন্ত্রীদের প্রতি কড়া দৃষ্টি রাখা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। দুদুক চেয়ারম্যান বলছেন, মন্ত্রী সাবেক বা বর্তমান যেই হোক, দুর্নীতির গন্ধ থাকলে ছাড় নয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি স্মরণ করে দিতে চাই নবনিযুক্ত মন্ত্রীপরিষদ যখন প্রথম অতিরিক্ত কঠোরতায় যার যার কার্যালয়ে বসে ফলাও করে বলছেন কে কি করতে চায়। সেটা মিডিয়াতেও আছে। হয়তো এই মুহুর্তে সেই মন্ত্রীপরিষদ ভিষণ খুশি। বাসায় গিয়ে পরিবারের নিকট হতে পাচ্ছেন বাহবা। হয়তো সেই খুশিতে আদর আপ্যায়ন আরো বেড়েগেছে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা রয়েছে স্থিতিশীল ।
একটু যদি পিছন ফিরে দেখেন,
এই সকল কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সফল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে । করোনা এসেছে, অনেকটা চলেও গেছে। ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত হাজার বাঁধা, হাজার সমালোচনার পার করে ধৈর্যের সাথে ধরে রেখেছে অর্থনৈতিক চাকা। এসব কি কম সুখের খবর বলেন ! কিন্তু লক্ষ্য করেননি কখন সেই লোহার ঘরে ছিদ্র দিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে প্রবেশ করিয়েছেন বিষধর সাপ । আজ তারা ফনা তোলার পূর্ব মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ।
আমার পূর্বের লেখায় কয়েকটা ক্লু দিয়েছি, আবারও বলছি, দয়া করে গার্মেন্টস সেক্টরের ফাঁকফোকর দিকে নজর দিন। বাংলাদেশের আয়ের প্রধান উৎসের উপর আঘাত সহ অন্যান্য আয়ের উৎসের উপর আঘাতের ষড়যন্ত্র বিপরীত বুদ্ধিজীবীদের কতৃক অনেকটাই প্রকাশ পেয়েগেছে।
তাদের সূত্র:
কোন সরকারকে নাড়িয়ে দিতে হলে তার ইকোনমিকে আঘাত করা এবং তারপরেই জনরোষ তৈরি করা। নির্বাচনের পূর্বে তাদের কৌশল এবং শপথ অনুষ্ঠানের পরে তাদের কৌশলে রয়েছে অভাবনীয় পরিবর্তন। যার চুড়ান্ত আঘাত হতে পারে গার্মেন্টস সেক্টরে।
শুধুমাত্র এই দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রীর বা নির্দিষ্ট কোন মন্ত্রীর এটা ভেবে বাকিরা তৃপ্তির ঢেকুর তুললে ভাল কিছু হবে না বলে মনে করি। একটি সেক্টরে ধস নামাতে আন্দোলনের স্থায়িত্ব বেশিদিন লাগে না। বর্তমান আন্দোলন তথা বিষবাস্প থেমে হয়তো যাবে, কিন্তু আঘাতের স্থান শুধু একটি আন্দোলন নয়, রয়েছে নানাবিধ রাস্তা। প্রতিটি রাস্তায় শুরুতেই কার্যকর ডিফেন্স না নিলে হয়তো মন্ত্রী মহোদয়গণ প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করতে পারবেন না বলেই মনে করি। এখন যদি সেই প্রধানমন্ত্রীকেই সমস্যা সমাধ্যনে মাঠে নামতে হয় তাহলে পরিবর্তনের যে কথা মন্ত্রী মহোদয়গণ বলেছিলেন তার মূল্য কোথায় থাকে?
বিষয়টি নিয়ে ভাবনার সময় হয়েছে। ভাবুন এবং কার্যকর ব্যবস্থানিন। গার্মেন্টস শ্রমিকদের দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কারণ ওরা না থাকলে গার্মেন্টস সেক্টর অচল।
আঘাতের ধরণ পাল্টাবে, যুদ্ধের কৌশল হবে প্রতি মুহুর্তে পরিবর্তন এতে কোন অপরাধ নেই । কারন যুদ্ধের ময়দানে প্রতি মুহুর্তে ধরন পালটানো যেতেই পারে। তবে তারজন্য চাই কার্যকর মেধা ।
আপনারা হয়তো অতি উৎসাহী হয়ে ভুলেই গেছেন - মেধা বিক্রি হয়, মেধার মধ্যে বিষ ঢোকানো যায় । ইতিহাস তার সাক্ষি । সেই রাস্তা কিন্তু তৈরি করেছেন নিজেদের অজান্তেই । আর তাই -কঠিন থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবার সময় এখন । অতিমানবিকতা আপনাকেই হয়তো বিপদে শুধু ফেলবেই না। শেষ করে দিতে পারে সকল অর্জন ।
Daily J.B 24 / তৈমুর মল্লিক
আপনার মতামত লিখুন: