• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ; ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  রবিবার, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ;   ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সংকট নিরসনে সেইতো শেখ হাসিনা

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৩ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩৭ পিএম
তৈমুর মল্লিক, রাজনীতি, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সংকট, বাংলাদেশ
তৈমুর মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র ও সংকটের সাগর পেরিয়ে বাংলাদেশ তীরে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি যথার্থ বলেছেন বলেই আমার অভিমত । আমরা সেটা মনে প্রাণে বিশ্বাসও করি । কিন্তু এই যথার্থ কথাটা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যখন বললেন, তখন কি এটা ভেবেছিলেন যে, উক্ত বক্তব্যে সাবজেক্ট হয়েগেছে সেই বিপদের কান্ডারী "শেখ হাসিনা"? 


আমি জানিনা তিনি সেটা মাথায় রেখেছিলেন কি না । কারন এখানে সাবজেক্ট হবার কথাতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নয়, বরং সাবজেক্ট হওয়া উচিৎ ছিলো - নির্বাহী প্রধানের গঠিত অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট অর্গান সমূহ । যদি তাই না হয় তাহলে বাংলাদেশের যে কোন সংকট উত্তরণে এই সকল অর্গান সমূহের কাজ কি, কেনই বা সেগুলো তৈরি ! 
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে উক্তি করেছেন, এতেকরে সকল দায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে তুলে দেয়া হয়েছে । এটাকে ভাংলে যেটা দাঁড়ায়, যদি সংকট থেকে উত্তরণ ঘটে তাহলে ভালো, যদি না ঘটে তাহলে সকল দায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর । অর্থাৎ কাটগড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা । তাকে একাই ছেড়ে দেয়া হয়েছে মাঠে । মরলে সে মরবে, বাকি সবাই আরামে সুখের নিদ্রা থেকে উঠে যারা আসবে তাদের কাঁধে হাত রেখে ফিরে যাবে নিজেদের স্বর্গ রাজ্যে । আর যদি বেঁচে যায়, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কিছু গুণকির্তন করতে করতে বুকের ছাতি চওড়া করে আবার ফিরে যাবে আপন বলয়ে । 
বিষয়টি একদিকে অমানবিক, একদিকে স্বার্থপরতা, একদিকে উভচর প্রাণির মতো নয় কি ?

সকল দায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে তুলে দিতে চেয়ে যে সংকটকে মেনশন করা হচ্ছে, সেই সংকট কি আসলেই শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন ? যদি তাই হবে তাহলে "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন বলবেন, অন্যান্য দল থেকে আওয়ামীলীগে যারা প্রবেশ করেছে তাদের বের করে দাও"। 
ইন এবং শেখ হাসিনার নির্দেশ পেয়ে আউট, এই দুইয়ের মাঝখানে কি শেখ হাসিনা ছিলেন? যতো প্রকার লেনদেন। যতো প্রকার অনৈতিক তহবিল নির্মান তার কোনটায় কি শেখ হাসিনা আছেন ? নিশ্চই না । তাহলে যেদিন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, রা*জাক আর সন্তানেরা আওয়ামীলীগ করতে পারবে, অর্থাৎ এক কথায় দেশ বিরোধী যে কোন পরিবারের সদস্য আওয়ামীলীগ করতে পারবে এরপরেইতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো বা এখনো বেপরোয়া আছে বাংলাদেশ তাইনা ? লাগামহীন অনুপ্রবেশে যখন সকল পর্যায়ের, সকল খাতে, দেশি ও বিদেশি সকল চক্রান্তের জন্ম হলো, যার ফলাফলে তৈরি হলো চরম সংকট, আজ আবার সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে দায় তুলে দেয়া হচ্ছে শেখ হাসিনার কাঁধে ? 


জন্মগত ভাবে বাংলাদেশতো দুর্নীতির সহোদর, একটি দূর্নিতি জন্ম দেয় হাজার হাজার সংকট । সেই সংকট মোকাবেলায় নির্বাহী প্রধানকে হতে হয় কঠোর। সেই কঠোরতা ফলাও করে প্রাচারিত হয় সেই অনুপ্রবেশের হাত ধরে সারা দুনিয়ায় । তখন তৈরি হয় আন্তর্জাতিক সংকট । তাহলে শেখ হাসিনা আসলে কোন রাস্তায় যাবে কেউ বলতে পারেন?
একদিকে সংকট তৈরি করছি আমরা, নির্বাহী প্রধান হিসাবে আন্তর্জাতিক ফরমেশনে মেধা  খাটানোর জন্য, সমগ্র দুনিয়ায় ব্যাবসার ক্ষেত্র নির্মানে, দেশের মধ্যে শিল্পের বিকাশ ঘটানো, বেকারত্ব দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে, দেশের মধ্যে সকল সেক্টরে উন্নয়নের জন্য কতটুকু সময় আমরা তাকে দিয়েছি ? সময়তো দেইনি, অন্যদিকে আমাদের নির্মান করা সংকট দূর করতে তার উপরেই নির্ভর করছি অর্থাৎ আরো চাপে রেখে তাকে শেষ করে দিতে চাইছি । একজন মানুষ কতটা চাপ নিতে পারে সেটা বিবেচনায় নেয়া উচিৎ নয়কি ? 


শেখ হাসিনার সাথে থেকে, তার সরকারের অংশ হয়ে যারা এখনো শেখ হাসিনার কদমের পরিমাপ শিখতে না পারা যায়, তাহলে বলতেই হয়- শেখ হাসিনার পাশে থেকেও আসলেই তার পাশে ছিলাম কিনা । তার সরকারের অংশ হয়ে আসলেই কোন দিন সরকারের অংশ হিসাবে নিজেকে রেখেছি কি না। 
আজ মৌলবাদের উত্থানের পায়তারা দৃশ্যমান । হয়তো সেই শেখ হাসিনাকে ঠেলে দেয়া হবে সেই, আফগান, তালেবান, কট্টরপন্থী ধর্ম ব্যাবসায়ীদের সামনে । হয়তো তাকেই বলা হবে- এবার যুদ্ধে যেতে হবে আপনাকে , আর আমরা বসে যুদ্ধের ফলাফলের আশায় থাকবো। জিতলেও লাভ, হারলেও লাভ। কিন্তু সেটা হওয়ার কথা ছিলনা । অর্গান সমূহের নেতারা যদি এতবছরে শেখ হাসিনার কদমের পরিমাপ কিঞ্চিত হলেও বুঝতো -তবুও বাংলাদেশ হয়তো আরো এগিয়ে যেতো । হয়তো আজকে বলতে হত না " প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র ও সংকটের সাগর পেরিয়ে বাংলাদেশ তীরে পৌঁছাবে"।  
এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় - তীর দুরে ঠেলে দিয়েছি আমরাই । 

 

  • মোঃ তৈমুর মল্লিক 
  • কলামিস্ট
  • প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক 
  • দুর্জয়বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন 

 

 

Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ