• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সময়টা অনুকূলে নয়, অবহেলা করবেন না

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪৭ পিএম
তৈমুর মল্লিক, রাজনীতি , চক্রান্ত, আগ্রাসন, বিএনপি, জামাত, শিবির
মোঃ তৈমুর মল্লিক

সুশীল নই, বুদ্ধজীবিও নই। নই ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। অতি সাধারণ একজন হিসাবে অনেক আগে থেকে লিখে, ভিডিওতে এটাই বলার চেষ্টা করেছি যে, বিএনপি, জামাত, শিবির এদের আক্রমনের ধরণ পরিবর্তন করবে এবার।

প্রায় ১৫ বছর রাজপথে এদের কোন শোডাউন বা আন্দোলন সংগঠিত হতে পারেনি।  মাঝে মধ্যে ধর্ম ভিত্তিক যে আগুন দেখা গেছে সেটা ছিলো ঝড়ের পূর্বে মাঝে মধ্যে হঠাৎ দমকা হাওয়া। যা ক্ষণস্থায়ী।  তবে ক্ষণস্থায়ী হলেও সেই দমকা বাতাসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রা পূর্ণ ঝড়ের একটা ইংগিত দিয়ে যায়।  

প্রশাসন অত্যান্ত দক্ষতার সাথে সেই স্থানকে সনাক্ত করতে পেরেছে এবং সেই অনুসারে ব্যাবস্থা নিয়েছে বলেই সেই প্রভাব দুর্বল হয়ে তার গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে বা হয়েছে সেটাই স্বাভাবিক।  

আমি আক্রমনের ধরন যে পরিবর্তনের কথা বলেছি তার ধারণা এসেছে উল্লেখিত বিষয় তরজমা করে।  আমি বিষয়টি  এই ভাবে ভেঙে কখনই বলিনি। শুধু বলেছি আক্রমনের ধরন পরিবর্তন হবেই।  সেই ধরন অন্য কিছুই নয় - "সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে অপসারণ করতে যে কোন বিধ্বংসী আক্রমণে ব্যাবহার করা হবে নারীদের"।  নারীদের ব্যাবহার করা হবে মিছিল, মিটিং, আন্দোলন, আক্রমণ ইত্যাদির প্রথম সারিতে।  

সুইসাইড স্কোয়াড একটি অতি স্পর্শকাতর বিষয়, যা বাংলাদেশে এ যাবত আসেনি। শুধুমাত্র বাংলাভাই'দের আমলে। সেই সুইসাইড স্কোয়াডকে কন্সিডার করলেও অতিরঞ্জিত হবে না।  সেই ক্ষেত্রে পুরুষ নয়, নারী হবে সেই মানব বোমা।  যদিও সুইসাইড স্কোয়াড একটি শেষ পদক্ষেপ কিন্তু তার প্রস্তুতি পর্ব চলছে বলেই মনে হয়।  

বিগত ১৫ বছরে সরকার ও দেশ বিরোধী কার্যক্রমে পুরুষদের চলাচল, গতিবিধি, ও কর্মধারা গোয়েন্দা নজরদারিতে শতভাগ। কিন্তু তাদের আর একটি শাখা নারী তাদের বিষয়ে কতটা তথ্য সংগৃহীত সেটা জানিনা, তবে অপেক্ষাকৃত কম সেটা আমার ধারণা।  ওরা এই স্থানকে মাথায় রেখেই নারীদের সামনে ঠেলে দেবে বলে মনে হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আমরা তার নজির দেখতে পাইনি সেটা কিন্তু নয়। নারীদের প্রতি প্রত্যেক মানুষের একটি সফট কর্ণার কাজ করে। রাস্তাঘাটে সেটাতো আরো বেশি কাজ করে। আর যদি সে হয় বস্তাবন্দি নারী তাহলে তারপ্রতি যে কোন এলিগেসন দাড় করানো কতটা কঠিন সেটা রাস্তা ঘাটে দেখা যায়। বাংলাদেশের মৌলবাদী সমাজ নারীদের যতোটা না তার আব্রু রক্ষায় বস্তাবন্দি হতে বলে, তারচেয়ে সেখানে বেশি চিন্তা কাজ করে তাদের স্বার্থে নারীদের ব্যাবহারের জন্য।  বিষয়টি বুঝতে হলে যারা বলছে তাদের ব্যাক্তিগত চরিত্রের দিকে তাকান তাহলে পরিস্কার হয়ে যাবে। নিজেদের অবস্থান হাজারো উলঙ্গিনীর মধ্যে কিন্তু বয়ানে থাকবে বস্তাবন্দির সংলাপ।  সেখানে শালিনতা শব্দটা এড়িয়ে যায় সুকৌশলে। 

কোন মানুষই চায়না, নারী বা পুরুষ কেউ অশালীন ভাবে রাস্তায় চলুক।  কিন্তু মৌলবাদী গোষ্ঠী শুধুমাত্র নারীদের বস্তাবন্দি করতে চাইলেও নিজের দৃষ্টি ও মানষিকতা নিয়ে কখনই বলবে না। অথচ যতটা নারীদের জন্য, ততোটাই পুরুষের জন্য বলেই আমার ধারণা।  

এই সকল কথা বলার উদ্দেশ্য একটাই - যুদ্ধের কৌশলে নারী এখন বাংলাদেশের উগ্রবাদিদের প্রধান অস্ত্র। আর এতদিন বসে যে বিষয় তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেছে, সেটা নারীদের পর্দার জন্য যতোটা তার চেয়ে বেশি যুদ্ধের মাঠে তাদের রাস্তা তৈরি করার একটি পায়তারা।  
যারা রণকৌশল নিয়ে সামান্য জ্ঞান রাখেন, তারা জানে "ক্যামোফ্লাইজ কনসালমেন্ট" অর্থাৎ ছদ্মবেশ ও গোপনীয়তা কি "। তাই আমি এখানে বিস্তারিত লিখলাম না।  

শুধু এটুকু বলতে চাই,  আমি আরো বেশি নিশ্চিত নারীদের মানববোমা হিসাবে ব্যাবহারের চক্রান্ত হয়ত অমুলক নয়।  সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির আন্দোলনে মিছিলের সবার সামনে কয়েকজন নারীকে রাখা কোন সাধারণ ভাবনা নয়।  এটা একটি ঢাল।  একটু আগেই বলেছি, রাস্তায় সকল মানুষের নারীদের প্রতি একটি সফট কর্ণার কাজ করে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিধ্বংসী রূপে এগিয়ে যায় তারই পিছনে পুরুষ।  

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এন এস আই ,  ডিজিএফাইএ , সি আই ডি , র‍্যাব , পুলিশ কে মেনশন করে বলতে চাই, বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। 

 

  • মোঃ তৈমুর মল্লিক 
  • কলামিস্ট 
  • প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক 
  • দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ