
আমার যতদুর মনে পড়ে, ভিডিও ও লেখ্য উভয় দিক থেকেই বারবার বলেছি, এবার কৌশল ভিন্ন। জঙ্গি তৎপরতায় পুরুষ জঙ্গির স্থলে নারী_জঙ্গিদের এবার সামনের সারিতে রাখা হবে বলেই ধারণা আমার। ধারণাটা কোন কাল্পনিক চরিত্র হতে খুঁজে পাইনি, আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন, এই চিত্র অতি ধীরে ধীরে ভেসে উঠেছে, যার মোটামুটি সাংগঠনিক রূপ দেখা গেছে প্রেসক্লাবে কালো বস্তা পরিহিত নারীদের সম্মেলন।
যেখানে এজেন্ডা ছিলো - তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চায় নিজের পরিচয় দানে। মুখমণ্ডলের খোলারূপ তারা দেখাতে নারাজ দাপ্তরিক ভাবেই। বিষয়টি শুধু প্রেসক্লাবের মধ্যেই ছিলো এমনটা নয়, যা ছড়িয়ে পড়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয়েও।
এরপরেই টিএসসি তে নামাজের স্থান চেয়ে এমন এমন নারীদের দেখা গেছে যারা একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, অন্যদিকে ব্যাক্তিগত চরিত্রে বেশ উগ্র। তাদের বিষয়ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের হিসাব নিকাশ সোশ্যাল মিডিয়ার ইনবক্স ম্যাসেজ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিলো।
শুধুমাত্র সাংগঠনিক দুর্বলতা ও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে তারা হয়তো তাদের আচার আচরন সঠিক সময়ের আগেই প্রকাশ করে ফেলে। প্রকাশ হবার পরেই তারা আবার অতিদ্রুত চুপ হয়ে যায়। এখনও সেরকম চুপ ভাবেই আছে। এটা ভাবার কোন কারন নেই, তারা তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছে। বরং এটা বলাযেতে পারে তারা তাদের কর্মকাণ্ড বেশ সাংগঠনিক ভাবে ও সফলতার সাথে বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছে।
নারী হবার কারণে তাদের প্রতি একটি বাড়তি সুবিধা থাকে সেটা বলার কথা নয়। প্রশাসনও বেশ হালকা ভাবে বিষয়টি তদারকি করে। গত ২ দিন আগে রেল স্টেশনে একজন নারী তার পরিধেয় বস্ত্র অসামাজিক ছিলো বলে অন্য একটি নারী তাকে চেপে ধরে এবং উচ্চস্বরে চিৎকার করে বিষয়টি অনেকটাই বিপদজনক করে তোলে। সেই নারীর চিৎকারে যারা এগিয়ে এসেছিলো তাদেরকে আস্তে আস্তে নানা রকম বাকবিতন্ডায় ক্রমেই অধিকতর উগ্র হতে দেখা যায়। বিষয়টি হয়তো তেমন বিপদজনক হয়নি কারণ স্থানটি ছিলো রেল ষ্টেশন, যেখানে প্রশাসনিক এলাকা বলা যেতেই পারে।
প্রশ্নহলো - গ্রেপ্তার হলো ১ জন, যাকে মিডিয়া বকাটে বলে প্রচার চালাতে ব্যাস্ত। আসলেই কি সে বকাটে? নাকি পরিকল্পিত ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন উগ্র জঙ্গি। তাহলে সেই মহিলা কোথায়, যে অশালিন পোষাকের জন্য নিজে চিৎকার করে লোক জড়ো করলো? শুধু তাই নয়, সে অন্যকে বলছে অশালিন কিন্তু নিজে "শুয়োরের বাচ্চা" (ভাইরাল ভিডিওতে শোনা গেছে) বলে গালি দিয়ে কোন শালিনতার পরিচয় দিলো? এখন অবধি সেই নারী কেন গ্রেপ্তারের বাইরে থেকে গেলো, মুল বিষয় ঘিরে রয়েছে সেই আগ্রাসী নারী।
পরিকল্পিত ভাবে সেই নারীকে সামনে পাঠিয়ে এমন একটি ঘটনার জন্ম দেয়া হল কি না বিষয়টি গ্রেপ্তারকৃত ছেলেটার চেয়ে উক্ত নারী ভালো জানে বলে আমার অভিমত।
যাইহোক, সামনের সময়ে হয়তো আমরা নারীদেরকেই সামনের জঙ্গি হিসাবে দেখতে পাবো। বিষয়টি আরো দৃঢ় ভাবে বলাযায় এই কারনে যে, রাজপথে নেমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি কারার মতো সাহস অন্তত এই সময়ে পুরুষের নেই। সেইহেতু নারীর বিকল্প নেই। আর তাই অন্তরালে কোন নারী জঙ্গিদের সুইসাইড স্কোয়াড জন্ম নিচ্ছে কি না সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে।
এটা বিশ্বাস করি প্রশাসন নিশ্চই এই ব্যাপারে সজাগ। কিন্তু ভরসা করতে পারিনা কারণ প্রধানমন্ত্রীর কে শত্রু আর কে মিত্র সেটা বোঝা খুবই কঠিন একটি বিষয়। সম্ভবত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও কনফিউজড। আর তাই সারা দেশের মানুষকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।
আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো, কোন ভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল হতে দেয়া যাবেনা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জটিল বিষয়ও তড়িৎ সমাধানে হতে হবে তৎপর। নারী বা পরুষকে আলাদা করে মূল্যায়নের কোন সুযোগ নেই। এসব করতে গেলে একটি পক্ষ স্বাধীনতা নেই বলে প্রচার চালাবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসেনা। দেশের কল্যানে ডিক্টেটরশিপ মাঝে মাঝে সুফলই বয়ে আনে। বেঁচে যায় তাজা প্রাণ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: