• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  রবিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সাইবার ক্রাইম রোধে "এন আইন ডি" বাধ্যতামূলক করুন

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৬ এএম
সাইবার ক্রাইম , এন আই ডি , বাংলাদেশ
ফাইল ছবি

আমরা সাইবার ক্রাইম ভার্সনে সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ -

  • ১। ফেসবুক
  • ২। টুইটার
  • ৩। লিক্নডইন
  • ৪। হোয়াট্ এ্যাপ
  • ৫। টামব্লার
  • ৬। ইন্সটাগ্রাম
  • ৭। গুগোল প্লাস
  • ৮। স্কাইপ
  • ৯। স্নাপচ্যাট
  • ১০। পিন্টারেস্ট
  • ১১। রেডডিট
  • ১২। স্টামবোলআপন
  • ১৩। মাইস্পেস
  • ১৪। ইউটিউব
  • ১৫। ভাইন

ইত্যাদির নাম জনপ্রিয় হিসাবে জানি। তবে বাংলাদেশের মানুষ যারা সবকিছু ফ্রিতেই করতে চায় এবং জটিলতা কম ফ্যাসিলিটি বেশি সেটাকেই রপ্ত করে অতি দ্রুত।  সন্ধেহ নেই যে অর্থ আয় বড় একটি ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে এখানে। 
সেইদিক থেকে বিচার করলে ফেসবুক পেজ, ইউটিউব বাংলাদেশের নিকট অতি-জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই সাথে #ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার একই ধাঁচের এপ্লিকেশন। তবে ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার সাধারণত সেলিব্রিটি হিসাবে যারা বিবেচিত তারা ব্যাবহার করে। 
অন্যদিকে স্কাইপে ফ্রি ভার্সন ব্যাবহার হয় অফিশিয়াল ভাবে। গুরুত্বের উপর নির্ভর করে স্কাইপে পেইড ভার্সনও ব্যাবহার হয়। অভারঅল সবগুলোই সাইবার ক্রাইমের জন্য ব্যাবহার হয় কম বা বেশি। 

 


তবে ফেসবুক ও ইউটিউব কন্টেন্ট নির্ভর অর্থ আয়ের পথ, এবং সেখানে ভিউয়ার টেনে আনা একটি প্রতিযোগিতা।  যারফলে যতনা সুস্থ কন্টেন্ট তৈরি হয়, তারচেয়ে হাজারগুন অসুস্থ চিন্তার কন্টেন্ট তৈরি হয়, সেটা বুঝে বা না বুঝে।  
সাইবার ক্রাইম যারা করে তারা জেনেবুঝেই করে। এবং অসুস্থ কন্টেন্ট এবং অসুস্থ ভিউয়ার তৈরি তাদের প্রধান লক্ষ্য।  সেটা দেশের বিপক্ষে হোক, সরকারের বিপক্ষে হোক, ধর্মের বিপক্ষে হোক, বা আইনের বিপক্ষে হোক।  নেগেটিভ কন্টেন্ট মানুষ বেশি পছন্দ করে বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ সেটা আমি হলফ করে বলতে পারি।  

 


মজার ব্যাপার হলো ফেসবুকে একই ব্যাক্তি অনেকগুলো আইডির মালিক। বিভিন্ন নামে এসব আইডি তৈরি হয়। একই ব্যাক্তি ইউটিউবে অনেক চ্যানেলের মালিক। ভুল বা মিথ্যা ইনফরমেশন দিয়েই এইসব আইডি, চ্যানেল তৈরি হয়।  
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ফেসবুক বা ইউটিউবের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে তেমন একটা যোগাযোগ রক্ষা করেনা বলেই মনে করি। তারা সিক্রেট এবং কম গুরুত্বপূর্ণ এপ্লিকেশন দিয়েই খুবই সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রদান করে। যা দেশের মধ্যে বিভিন্ন সিক্রেট পেজ, গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে স্প্রে হতে থাকে।  যারফলে দেশের মধ্যে একি ব্যাক্তির অনেক আইডির প্রয়োজন হয়। একটি থাকে প্রশাসনের পক্ষে বাকি সবই থাকে বিভিন্ন পেজে, গ্রুপে চ্যানেলে এক্টিভ।  
বোঝাই যাবে না, কে কি।  কার ভিতরে কি কাজ করছে।  

 


মোটামুটি এই হল আমার দেখা চোখে অভিজ্ঞতা। প্রশ্নহলো তাহলে সাইবার ক্রাইম রোধে কি করা যেতে পারে?  
আমরা যতটা জানি সাইবার ক্রাইম রোধে অনেক অর্থ ব্যয় করছে সরকার। বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিতে হচ্ছে তাদের। এসব অবশ্যই দরকার আছে। কারন রাস্তারতো অভাব নেই। বিষয়টি একেবারে হাতের মুঠোতে অতি সহজে নিয়ে আসার জন্য শুধু একটা আইন দরকার। সেটা হলো আই ডি তৈরি বা চ্যানেল তৈরি করতে ব্যাক্তির এন আই ডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা। নিশ্চই এটা সম্ভব। দেশের জন্য ফেসবুক বা ইউটিউব কথা শুনবে না সেটাতো হতে পারেনা। একটি তৈরিতে এন আই ডি কার্ড একবারই ব্যাবহার করা যাবে অর্থাৎ  একই এন আই ডি দ্বারা কেউ দ্বিতীয় আইডি তৈরি করতে গেলে সে যেন অপারগ হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া আরো কিছু পদ্ধতি আছে যা প্রয়োগ করলে আইডি ও চ্যানেল তৈরি করতে হবে নিজের নামেই এবং সেটা সঠিক তথ্য দিয়ে।  

 


এই পক্রিয়া সম্পন্ন হলে, ইউজারের সংখ্যা যেমন কমে যাবে, অন্যের নামে আইডি তৈরি করে উস্কানিমূলক প্রচারণা বন্ধ হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধ হবে।  
এতগুলো সুযোগ আমরা কেন নষ্ট করবো সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম। 

 


সরকারের প্রতি অনুরোধ, বিষয় ভিত্তিক কার্যক্রম হাতে নিন। উস্কানিমূলক বক্তব্য, গুজব, দেশ বিরোধী, আইনবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করুন। 

 


মোঃ তৈমুর মল্লিক 
কলামিস্ট 
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক 
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ