
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত হতে আর কতদেরি যে, আগুন সন্ত্রাসের ভার্সন পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তায় আন্দোলন করে আগুন সন্ত্রাস ছড়ানোর যে ভার্সনকে আটকে দেয়া হয়েছে সেখানে প্লান- বি এখন চলমান। যার নাম সাইলেন্ট আগুন সন্ত্রাস।
সবকিছু থাকবে স্বাভাবিক, আন্দোলন, চিৎকার, ধর পাকড় এসব পথ এড়িয়ে দুম করে যে কোন স্থান হবে আক্রান্ত। মারাত্মক এই পদ্ধতি। কে কোথা থেকে, কার মাধ্যমে, কোন পর্যায়ে, কোন বস্তুতে আঘাত হানবে বলা অত্যান্ত কঠিন। জানিনা বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থার এমন সাইলেন্ট আগুন সন্তাস খুজে বার করার কোন কৌশল জানা আছে কিনা, কোন প্রযুক্তি আছে কিনা। এটা এমন একটি কৌশল, কোন ভাবেই কেউ সন্দেহের বাইরে নয়। তবে এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর একেবারে নিজেদের ভিতরে অবস্থান করা ব্যাক্তি সমূহ। যাকে কোন ভাবেই সন্দেহের তালিকায় নেয়া যায় না।
যুদ্ধের মাঠে এই কৌশলকে "হাইডআউট" বলা হয়। যে বিষয়ে বাংলাদেশে একমাত্র সেনাবাহিনী হলো এক্সপার্ট। সঠিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তারাই জানে একটি হাইডআউট কিভাবে নস্যাৎ করতে হয়। হাইড আউটে থেকে টার্গেট ধ্বংস করা এবং নিরাপদে স্থান ত্যাগ করা, এই বিষয়টি সম্পর্কে সেনাবাহিনী একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা এগিয়ে আসতে পারে দেশের প্রয়োজনে।
বাংলাদেশ পুলিশ, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, বা অন্যকোন অস্ত্রধারী প্রতিষ্ঠান রেড, হাইড আউট, এম্বুস ইত্যাদিতে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। আর তাই সেনাবাহিনীর কোন বিকল্প নেই বর্তমান দেশ বিরোধীদের এই পদ্ধতি নস্যাৎ করার।
যদি সত্যি চলমান সাইলেন্ট আগুন সন্ত্রাস পরিকল্পনার অংশ হয়, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত থাকুন, দেশের বাইরের থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দল দেশের মধ্যে প্রবেশ করেছে। এটা এমন একটি পদ্ধতি যেখানে তাদের সনাক্ত করাও দুস্কর।
কখন কিভাবে প্রবেশ করলো সেটা হয়তো কেউ লক্ষ্যই করেনি। অস্ত্রদিয়ে গুলি করতে বড় ধরনের প্রশিক্ষণের দরকার হয়না। তবে হাইড আউটে থেকে টার্গেট ধ্বংস করে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার জন্য দরকার মেধা সম্পন্ন নিবিড় প্রশিক্ষণ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওরা যদি একের পর এক হাইড আউটে সাকসেস হয়ে যায়, তখন যে সময়ের উপস্থিতি দেখা যাবে, তখন রেড ও এম্বুস করতে ওরা পিছপা হবে না।
এখন হাইড আউটে থেকে সাইলেন্ট আগুন সন্ত্রাস হয়তো জীবনের ক্ষয়ক্ষতি তেমন করছে না। কিন্তু রেড ও এম্বুস যদি শুরু হয় তখন প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি টার্গেট থাকবে ব্যাক্তি, বা ব্যাক্তি সমুহ। জীবনের ক্ষয়ক্ষতি তখন হবে ওদের চাহিদা।
আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্ভোদন করবেন আপনি, অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হবে বলে প্রচারিত হয়েছে। এই বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে ওরা বলেই মনে করি। আপনার নিরাপত্তা সবার আগে। সেই দিক বিবেচনায় রেখে সকল বিষয় সঠিক ভাবে করার কোন বিকল্প নেই। ওরা এখন দূর থেকে ভয় দেখাচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে বাংলাদেশের মতো দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ কোন কাজ নয়। তবে কঠিনও নয়। যে কোন উপায়ে বর্তমানে যে আগুন জ্বলেছে তার মধ্যে যদি সামান্য ক্লু পাওয়া যায় যে, এসবই হাইড আউটের অংশ তাহলে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে তাদের সনাক্ত করতেই হবে।
নিউজে এসেছে, আল কায়দা ভারত ও বাংলাদেশে আক্রমণ চালাতে রেডি হচ্ছে। বিষয়টি সহজ ও হাল্কা ভাবে নেবার কোন সুযোগ নেই। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ২৫ তারিখ আর একটু নিকটে এলে আমেরিকা থেকে গোয়েন্দা রিপোর্ট এই বিষয়ে আগাম কোন তথ্য তুলে ধরবে। কিন্তু এখন তাদের নিকট হতে কিছুই পাবেন না বলেই মনেকরি। কারণ যার ভাত সেতো তার মতো করেই রান্না করবে।
আমি যা লিখলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবই আমার ধারণা। বাস্তবতা কতটা সেটা নির্ভর করে যোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের উপর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা জানি, শেষ অবধি জয় আপনারই হবে। কারন আপনার শ্রম বৃথা যেতে পারেনা। তবুও বলতে হয়, আমরা বেঈমানের জাত। বেঈমানের কোন মা বাবা হয়না। জাত কুল থাকে না ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: