
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটে সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেখেছি বিএনপি-জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী।
সত্যি কি তারা মানবাধীকার কর্মি ছিলো ?
নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া অধিকার উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নিবার্হী আদিলুর রহমান, যিনি বিএনপি-জামায়াতের আমলে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ছিলেন, একজন বিএনপিপন্থী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। হেফাজতের তাণ্ডবের সময় তিনি ভুয়া মৃত্যুর সংবাদ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচার করেছিলেন এবং এজন্য তাকে কারাবরণও করতে হয়েছিলো। তিনি কোন মানবাধিকার কর্মি ছিলো !
পরিবেশ আইনবিদ সমিতির নির্বাহী প্রধান সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান কোন মানবাধিকার কর্মি ছিলো জানার বড় ইচ্ছা হয় । যেখানে আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিবেশ আর মানবাধিকার এই দুইটি বিষয়কে সরলিকরন করতে পারেনা , সেখানে বেলার প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান কোন মানবাধীকার কর্মি ?
বেলার প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান একজন স্বাধীনতাবিরোধীর পরিবারের সন্তান। সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালানো যার কাজ, যেটি তার ম্যান্ডেট নয়, যে বিষয় নিয়ে তারা কাজ করেন না সেই বিষয়ে তিনি বারবার কথা বলেন। যেমন- গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সংখ্যালঘু নিপীড়ন ইত্যাদি।
জানতে ইচ্ছা করে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত মায়ের ডাক মানবাধিকারের নামে আসলে কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে ? মায়ের ডাকের পক্ষ থেকে গুমের নানারকম হিসেব-নিকেশ ইত্যাদি উপস্থাপন করা হয়েছে, যেই তথ্যগুলোকে এর আগেই সরকারের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। মায়ের ডাকের ব্যাপারে সরকারের সুনির্দিষ্ট আপত্তিও রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে ব্যারিস্টার সারা হোসেনের কাজটা কি ? কেন তাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সারা হোসেন কোন আমলে, কার রাজত্বকালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেছে ? যার একমাত্র পরিচয় ড. কামাল হোসেনের কন্যা, যুদ্ধ অপরাধিদের পক্ষ নেয়া স্বামী ডেভিড বার্গম্যান । এছাড়া সারা বিশ্বে গুজব , অপপ্রচার চালানোর জন্য খ্যাত এই মহিলা ।
উক্ত স্থানে যোগদেয় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের পত্নী মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ।
হাস্যকর বটে । বাংলাদেশে একটি স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন আছে, তারা কেন চুপ করে থাকে এই ১/১১ এর কুশীলবদের প্রশ্নে , শেখ হাসিনা সরকারের জন্য বিপদের মহীপাল হওয়া স্বত্বেও এরা চোখের সামনে বসে চক্রান্ত করছে , অথচ সব চুপচাপ ।
উক্ত স্থানে যখন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য যোগদেয় তখন আর বলার অপেক্ষা রাখেনা বাংলাদেশ ভয়ংকর সুশীল নামক জলাতঙ্কে ভুগছে ।
২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চাওয়ার পরেও এই সকল সুশীলদের দেখেছেন কেউ যে, তারা সামান্য অনুতপ্ত বা আক্ষেপ প্রকাশ করেছে ? নিশ্চিত নয় । অথচ চারদিক নিরাবতা , কোথায় এখন সেই সকল সুশীলগণ । সঠিক ভাবে খুজে দেখলে নিশ্চিত তাদের পাওয়া যাবে ভয়ংকর কোন নেশার আড্ডায় ।
আর তাই বলাই যায় , এই মুহুর্তে বাংলাদেশ সুশীল নামক জলাতঙ্কে ভুগছে ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিষ্ট
Daily J.B 24 / অনলাইন ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: