
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন ১৯৮৩ [O. I. C. FOREIGN MINISTERS CONFERENCE 1983 IN DHAKA] উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনা, "আফগানিস্তান আমার ভালোবাসা"।
আহা কি নাম? নিজের দেশের ইতিহাস নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই আর আ ফ গা নিস্তান তাদের ভালোবাসা!
আফগানিস্তানের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সমকালীন সংকটের সামগ্রিক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সপক্ষে বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিক, সমাজসেবী ও বুদ্ধিজীবীদের সৃজনশীল রচনা, অনুবাদ, সমীক্ষা ও আলোচনা-পর্যালোচনার এই সংকলনটি সম্পাদনা করেন জা মাইত্যা কবি আল মাহমুদ এবং আফজাল চৌধুরী।
প্রকাশিত হয়েছিল ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ এর ব্যানারে।
ভূমিকায় তৎকালীন মহাপরিচালক আবুল ফায়েদ মাহাম্মদ ইয়াহিয়া (ইয়াহিয়া! তার তো নামেই পায়খানার গন্ধ লিখেন,
"'আফগানিস্তান আমার ভালোবাসা' নামে কবি আল মাহমুদ ও কবি আফজাল চৌধুরীর যৌথ সম্পাদনায় ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঢাকা একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংকলন প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এতে দেশের নেতৃস্হানীয় কবি-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবিগণ মূল্যবান লেখা ও সক্রিয় সহযোগিতা দিয়ে সংকলনটিকে অত্যন্ত প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্র দান করেছেন।
সমকালীন ইতিহাসে মুসলিম উম্মার অবিচ্ছেদ্য এক অংগের; ইসলামের আদর্শে অভূতপূর্ব এই জেহাদ পরিচালনা একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সারা দুনিয়ায় শান্তিকামী মানুষ আ ফ গানীদের মুক্তি ও সার্বভৌমত্বের সপক্ষে নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করছেন এবং সপ্রশংস দৃষ্টিতে অমিততেজা আ ফ গান জনতার মরণপণ সংগ্রামকে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাংলাদেশের ভূমিকা আফগানদের মুক্তিসংগ্রামের সপক্ষে অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীন। বাংলাদেশ চায় আ ফ গা নিস্তানের ইসলামী ও জোট নিরপেক্ষ চরিত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক এবং এর সার্বভৌমত্বের পুনরুদ্ধার হোক। আমরা বাংলাদেশীরা আ ফ গা নদের সর্বাত্মক জেহাদে রণাংগনে উপস্হিত হতে পারছি না। কিন্তু এই সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে এই পবিত্র জেহাদে অংশ গ্রহণ করছি।
আল্লাহ পাক আমাদের এই প্রয়াসকে কবুল করুন এবং অচিরেই আল্লাহ্, আফগান জনতার বিজয় সুনিশ্চিত করুন।"
—আমীন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
১৯৮৩ সাল স্বাভাবিকভাবেই ইসলামী ফাউন্ডেশন জামাতিদের দখলে। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে আফগানিস্তানের পক্ষে এইসব জঞ্জাল ছাপাবার কারণ হচ্ছে তখন তাদের আব্বুরাও (পাকিস্তান) আফগান যুদ্ধকে জিহাদের নাম দিয়ে মাল কামানোতে ব্যাস্ত।
আর এইসব জঞ্জাল পড়িয়ে পড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে জিহাদ করানোর জন্য আফগানিস্তান পাঠানো হয়েছিল প্রায় হাজার খানেক জঙ্গি সেনা। তাদের রিক্রূটিং করেছিল শিবিরের নেতা কর্মীরা। তারা নিজেরা যেতো না, পাঠাতো মাদ্রাসার এতিম বা গরীব ঘরের সন্তানদের।
সেই সূর্যসন্তানরাই পরে ফিরে এসেছিলেন বাংলা ভাই, মুফতি হান্নানদের রূপ ধরে। শুরু করেছিলেন বোমা হামলা।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: