
কুমিল্লায় যুগান্তরের সাংবাদিক একে সালমান দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত হামলাকারীকে আটকের দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিক একে সালমানের উপর হামলার ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের টিম লিডার ও একাত্তরের রনাঙ্গণের মুখপত্র দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইদুর রহমান রিমন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেন- "ঈদ আনন্দেও রেহাই নেই, আবারো সাংবাদিকের উপর হামলা।" সত্যের পক্ষে জাতীয় দৈনিক মুক্তখবর ও সাপ্তাহিক দূর্নীতি সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক শাহীনুর ইসলাম নয়ন তার ফেসবুকে লেখেন- "খুব কাছের শান্তশিষ্ট প্রিয় কলমসৈনিক, প্রিয় সহকর্মী একে সালমান ছুরিকাঘাতে আহত! সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও......
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে হামলাকারীকে আটক করতে হবে।" এছাড়াও আরো অনেক সাংবাদিক দ্রুত হামলাকারীকে আটকের দাবি জানিয়েছেন।
আহত সাংবাদিক একে সালমান দৈনিক যুগান্তরের রাজধানী পাতার রিপোর্টার। শনিবার (৯ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে কুমিল্লা জেলার চান্দিনার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার ওপর এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত সাংবাদিক একে সালমাম জয়বাংলা টুয়েন্টিফোর ডট লাইভ-কে জানান, দূর্বৃত্ত মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ইমন কুমিল্লার চান্দিনা থানার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি তার আত্মীয় এবং বিভিন্ন সরকারী চাকরী ও বিজ্ঞাপন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে আমার পরিচিত লোকজন আমার সাথে দেখা হলে তারা আমাকে এ বিষয়ে বলে। এক পর্যায়ে তার খোঁজ নিয়ে দেখি সে এমন অগনিত লোকের কাছ থেকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা নিয়েছে। সে আমার এলাকার হওয়ায় অনেকে আমাকে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বললে, আমি তার বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে তার ফোন নাম্বার ভূক্তভোগীদের কাছে যোগাযোগ করার জন্য দিয়ে দেই। তখন তার বড় ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে, কারা কারা তার কাছে টাকা পাবে এমন পরিচিত যারা আছে তাদের নাম্বার দেওয়ার জন্য। আমি তাদের নাম নাম্বার দিলে সে আমাকে নানাভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। ঈদ উপলক্ষে সন্ধ্যায় আমি বাড়িতে আসলে ইমন গতকাল শনিবার দুপুর বেলা দুইটার দিকে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার সাথে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে বসে।
আমি ঘুম থেকে ওঠেই খালি গায়ে তার সাথে কথা বলতে বলতে বাড়ির পাশে হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে আসলে সে তার কোমরে থেকে একটি ধারালে চাকু বের করে আমার পেটে ঢুকিয়ে দিতে যায়। তখন আমি আমার প্রাণ বাঁচাতে তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌঁড় দিয়ে পালাতে গেলে পিছন থেকে আমাকে আঘাত করলে, আমার পিঠের বাম পাশে এবং বাম হাতের কনুইর একটু ওপর কেটে চরমভাবে জখম হয়। আশেপাশে থাকা কয়েকজন দৌঁড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাজারের একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পরবর্তীতে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: