
বাংলাদেশে খালেদা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গিবাদের সূচনা হয়। জঙ্গিদের বিভিন্নভাবে মদদ ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়েছিলো গণতন্ত্রের লেবাসে। এই দলের নাম বিএনপি।বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন জঙ্গিদের সব থেকে বড় গডফাদার। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে উপড়ে ফেলেছিলেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এখান থেকেই বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান পর্বের শুরু।
খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের আরেক গডমাদার। তিনি জঙ্গিদের লালন করেছিলেন তার রাজনৈতিক মসনদ পাকাপোক্ত করার জন্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের বুলেট থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে।ছয় বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।১৯৯১ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে চারবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও বিএনপি এর সন্ত্রাসীরা ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত চারবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে।২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২০ ট্রাক অস্ত্র আসা বা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা- সবই জঙ্গি যোগসাজশে হয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। সুতরাং বাংলাদেশে মূলধারার রাজনীতিতে জঙ্গিবাদকে ঠাঁই দেয়ার মূল কাজটি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চারবার হত্যার চেষ্টা করে খালেদা জিয়ার পেইড সন্ত্রাসীরা।
১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রিন রোডে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে বিএনপির সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলি করা হয়। অসংখ্য গুলি লাগে তার বগিতে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অক্ষত থাকেন শেখ হাসিনা।এই ঘটনায় সে সময় ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়।এই মামলার আসামী হল পৌর বিএনপির সভাপতি মোকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীনসহ ৩৫ জন বিএনপির নেতা-কর্মী।২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা হয়।কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এর তদন্ত আর আগায়নি।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়।২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্লুপ্রিন্ট এঁকেছিলেন খোদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একাধিক সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়াকে বাধা দিতে অনুরোধ করলেও তিনি কথা কানে তোলেননি।
এভাবে খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন জায়গায় হত্যার প্ল্যান করেছিল।যা আদালতে প্রমাণ ও হয়েছে।যাকে হত্যা করার জন্য এত পরিকল্পনা করেছিল খালেদা সেই খালেদা জিয়া আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হওয়ার পরেও জেলে না রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসায় থাকতে দিয়েছে, তাকে ইচ্ছামতো হাসপাতালে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।এর চেয়ে বড় উদারতা আর কি দেখাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা।
Daily J.B 24 / Dewsdesk
আপনার মতামত লিখুন: