
বিএনপি তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা বলে। যদিও তিনি পুরো মুক্তিযুদ্ধে একটাও গুলি চালিয়েছেন- একাত্তরের রণাঙ্গনের ইতিহাস নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধদের লেখা কোনো বইতে তেমন তথ্য-প্রমাণ মেলে না। তবুও জিয়া মুক্তিযুদ্ধের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব এবং জীবিতদের মধ্যে সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তম পেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধো নেতারা যখন বিভিন্ন নথি-পত্রের আলোকে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন, তখন বিভিন্ন মহল তার প্রতিবাদ করতে এতটুকু কার্পণ্য করে না। নথি-পত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখালে চুপসে গিয়ে কেউ কেউ বলেন, পুরনো ইতিহাস ঘাঁটার কী দরকার বাপু!
অথচ নতুন প্রজন্মের জানা উচিৎ, জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, কী ছিলেন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কী ছিল- সে সম্পর্কে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান একজন মেজর ছিলেন এবং তার পোস্টিং ছিলো চট্টগ্রামে। এই সময় ২৫শে মার্চে পাকিস্থানি বাহিনী অপারেশন 'সার্চ লাইট' নামে বাংলাদেশের নিরস্ত্র বেসামরিক জনগণের ওপর গণহত্যা চাপিয়ে দেয়। ইতিহাসের নৃশংসতম এই গণহত্যা এবং নারকীয় তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা দেন গ্রেপ্তার হওয়ার আগে। আর বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত এই স্বাধীনতা পুনঃপাঠ করেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা।
পরবর্তীতে সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়েও ঐ ঘোষণা পাঠ করানো হয় ২৬শে মার্চ। জিয়া ছিলেন সেই ঘোষণাপত্রের পাঠক হিসেবে নবম ব্যক্তি। তার আগে এম এ হান্নানসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সেই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। জিয়াও তার জীবিতকালে কখনই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেননি। তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রায় তার ‘একটি জাতির জন্ম’ শীর্ষক লেখাতেও বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাই তিনি পাঠ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
কিন্তু ৭৫-এর পর ইতিহাস বিকৃতির ধারায় জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করার এক ন্যক্কারজনক ইতিহাস বিকৃতির ধারা আমরা লক্ষ্য করি।
মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার কিছু ঘাপলা:
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে ইপিআর-এর সেনাদের রেডিওতে বিদ্রোহের সিগন্যাল দেন ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। তিনি আঁচ করতে পারছিলেন পাকিস্থানি হামলার। ম্যাসেজের খবর পেয়ে বাঙালী কর্নেল এম আর চৌধুরী ও বাঙালী ❛মেজর জিয়াউর রহমান❜ তাকে (ক্যাপ্টেন রফিক) বোঝাতে রেজিমেন্টে ছুটে আসেন, বারবার বিদ্রোহের বার্তা ফিরিয়ে নিতে বলেন। জিয়া বলেন- শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে আমরা পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করতে পারি না। সব ঠিক হয়ে যাবে। ক্যাপ্টেন রফিক এসময় সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাসে জিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পাকিস্থানি সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করতে জিয়ার নিষেধের ফলাফল হয় ভয়াবহ। সেই বাঙালি কর্নেল এম আর চৌধুরীকে ২৫শে মার্চ রাতেই ২০ বালুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা গ্রেপ্তার করে এবং হত্যা করে। কিন্তু জিয়াকে অক্ষত রাখা হয় কোনো অদৃশ্য নির্দেশে। বাঙালি সেনারা ক্যাপ্টেন রফিকের নির্দেশে পাকিস্থানিদের ওপর পাল্টা ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়া তাদেরকে নিরস্ত্র করেন উল্টো বুঝিয়ে। সেই রাতেই নিরস্ত্র বাঙালি সেনাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্থানি সেনারা। এক রাতে কয়েক হাজার বাঙালি সেনা ও তাদের পরিবার পরিজনরা শহিদ হন। যে হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় জিয়ার।
ঠিক সেই সময়ে অর্থাৎ ২৫শে মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় বীর সেনানী তৎকালীন মেজর আর পরবর্তী জেনারেল জিয়াউর রহমান তার কমান্ডিং অফিসার জানজুয়ার নির্দেশে নৌবাহিনীর একটা জীপ গাড়িতে করে বন্দরে সোয়াত জাহাজের দিকে যাচ্ছেন অস্ত্র খালাস তদারকি করতে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বারবার স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য খোঁজা হচ্ছিল ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামকে। এই দেশপ্রেমিক সেনা তখন নিজের বাঙ্কার আর চট্টগ্রাম শহরকে অরক্ষিত রেখে কালুরঘাট আসতে অস্বীকৃতি জানান। তারপর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র খোঁজ পায় একজন মেজরের, যিনি শহরে প্রতিরোধ না গড়ে তার ১৫০ জন সৈন্য নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন রামগড়ের দিকে। তারপর তো ইতিহাস।
জিয়া ৩ মাস একটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, পরবর্তীতে নিজের নামে সেক্টর খুলে বিতর্কে জড়ান। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী। জিয়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে জিয়া নিজের নামে ❛জেড ফোর্স❜ গঠন করলে মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের সঙ্গেও তার দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। পরে ❛কে ফোর্স❜ এবং ❛এস ফোর্স❜ গঠনের মাধ্যমে তার নিষ্পত্তি হয়।
জিয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে “সামরিক পরিষদ" গঠনের প্রস্তাব করলে ক্ষুব্ধ ওসমানী পদত্যাগের উদ্যোগ নেন, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের মধ্যস্থতায় নিষ্পন্তি হয়।
১৯৮৭ সালে প্রদত্ত এক সাক্ষাতকারে মেজর জেনারেল (অব) কে এম শফিউল্লাহ্ ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের ওসমানীবিরোধী তৎপরতার কথা প্রকাশ করেন। জেনারেল শফিউল্লাহ্ বলেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়া একসময় (জেনারেল) ওসমানীকে কমান্ডিং চিফ (পদ) থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করেন। এ ব্যাপারে তিনি আমাকে বলেন, (জেনারেল) ওসমানী পুরাতন (বৃদ্ধ) হয়ে গেছেন। সুতরাং ইয়ংদের (যুবকদের) মাঝ থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ করি এবং এ ব্যাপারে আমার সাথে তাকে আর কোনো কথা না বলার জন্য বলি।” (সূত্র: মহিবুল ইজদানি খান কর্তৃক গৃহীত সাক্ষাৎকার, সাপ্তাহিক ❛জনমত❜, লন্ডন, ২৮শে আগস্ট, ৩রা সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭)
আইএসআই'র দুর্ধর্ষ এজেন্ট জিয়ার গোপন মিশন ও এজেন্ডা:
জিয়াউর রহমান তৎকালীন পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। পাকিস্থানি কুখ্যাত সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই'র একজন হাইলি স্কিলড ও বিশ্বস্ত এজেন্ট ছিলেন জিয়া। ১৯৬৮ সালে তাকে ফিল্ডে নামায় আইএসআই। কৌশলগত কারণে তাকে চট্টগ্রামে রাখা হয়েছিল। ৭০- এর নির্বাচনের পর যখন বাংলাদেশের রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা, সেই সময় বাংলাদেশের ওপর সশস্ত্র হামলা করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী বিপুল অস্ত্র পাঠিয়েছিল 'সোয়াত' জাহাজে করে।
আইএসআই'র বিশ্বস্ত এজেন্ট হওয়ার কারণে এবং আইএসআই'র দায়িত্বশীল সিনিয়র কর্মকর্তা হওয়ার কারণে সেই অস্ত্র খালাসের দায়িত্ব পড়েছিল জিয়াউর রহমানের ওপর। কিন্তু জনগণের বাধার মুখে জিয়া সেই অস্ত্র খালাস করতে পারেননি, বরং অস্ত্রগুলোকে আটক দেখাতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে আইএসআই'র নির্দেশে জিয়া ভোল বদলে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেন। একইসাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং গোপন খবরাখবর পাকিস্থানি গোয়েন্দা সংস্থাকে সরবরাহ করার দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। আর এই কারণে আইএসআই'র ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা বনে যান। আসলে তিনি পাকিস্থানি গুপ্তচর হিসেবেই একাত্তরের ৯ মাস কাজ করেছেন।
আর এ কারণেই দেখা গেছে, এই ৯ মাসের যুদ্ধে একটি সেক্টরের অধিনায়ক হওয়ার পরও তিনি যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি বরং যুদ্ধের বিভিন্ন খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এই সময় পাকিস্থানি কর্নেল বেগের একটি চিঠি জিয়াউর রহমানের কাছে দেওয়া হয়েছিল। যে চিঠিটি জিয়ার আসল পরিচয় উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্নেল বেগ ওই চিঠিটিতে জিয়ার কাজের প্রশংসা করেন এবং তার স্ত্রী-সন্তানরা ভালো আছে বলেও তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিল সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন জিয়াকে।
জিয়ার ভূমিকা এবং বিশ্লেষণ:
মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার ভূমিকা সমরবিজ্ঞানের দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একজন গুপ্তচর শত্রুপক্ষের (এখানে বাংলাদেশ) সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে সম্ভাব্য যা যা করতে পারেন জিয়াউর রহমান তাই করেছেন। আর এই কারণে মুক্তিযুদ্ধে শেষ দিকে জিয়ার কাছ থেকে কমান্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়া আইএসআই'র নিদেশেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন এবং উপ-সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে আস্তে আস্তে পাকিস্থান বানানো। আইএসআই'র মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী জিয়াউর রহমানকে পে-রোলে রেখেছিল পাকিস্থান সরকার।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ঘটনাকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সেখানে যে সমস্ত সামরিক অফিসার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের সবাই "মুক্তিযোদ্ধা" কিন্তু তারা আসলে পাকিস্থান থেকে ভারতে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাদের সবাই মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষ সময়ে এসে প্রবেশ করেন বাংলাদেশে। কিন্তু যে সময় বাংলাদেশ জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় হুট করে এদের আগমন কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে জিয়ার রোমাঞ্চকর গুপ্তচরবৃত্তির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে। খুনি ফারুক, খুনি রশিদ কিংবা খুনি ডালিম- এরা সবাই পাকিস্থানে ছিল। কেউ কেউ জিয়ার ব্যাচমেট, কেউ ইমিডিয়েট জুনিয়র, কাউকে জিয়া নিজের হাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তির একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলো, যখন তারা দেখে যে যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় অনিবার্য, তখন তারা কিছু কিছু লোককে প্রতিপক্ষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। জার্মানরা এটি করেছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এটা করেছিল। বিশ্বে দেশে দেশে এটি হয়ে থাকে।
গুপ্তচর জিয়ার লক্ষ্য:
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর ওপর প্রকাশিত একটি গ্রন্থে দেখা যায় ‘র’ পাকিস্থানে এরকম বহু গোয়েন্দাকে নিযুক্ত করেছিল, যারা আসলে ‘র’ এর এজেন্ট কিন্তু কাজ করে পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে বা পাকিস্থান সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। একই রকম ভারতেও সক্রিয় অনেক আইএসআই এজেন্ট। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজের পদ্ধতি এমনই।
এই প্রক্রিয়াতেই জিয়াউর রহমানও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তার প্রধান কাজ ছিল আইএসআই'র পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। খুনি মোশতাক যেমন পাকিস্থানের দোসর ছিলেন, যেভাবে গুপ্তচরদেরকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নীলনকশা হিসেবে, ঠিক তেমনিভাবে জিয়াও পাকিস্থানি গুপ্তচর হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছিলেন।
আর এই পাকিস্থানি গুপ্তচররাই ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট সরাসরি হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত ছিল, যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন স্বয়ং জিয়াউর রহমান। জিয়া তার দীর্ঘ জীবনে কোনোদিনই বাংলাদেশের আনুগত্য প্রকাশ করেননি। বরং পাকিস্থানের একজন বিশ্বস্ত ও অনুগত এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। পাকিস্থানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাই ছিল তার কর্মজীবনের প্রধান লক্ষ্য। সেদিক থেকে জিয়া ছিলেন একজন সফল গুপ্তচর। তার গুপ্তচরবৃত্তি রোমাঞ্চকর গোয়ন্দা থ্রিলারকেও হার মানায়।
Daily J.B 24 / Newsdesk
আপনার মতামত লিখুন: