
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত-সমালোচিত এক যন্ত্র। বিশেষ করে বিএনপি এবং তাদের জোটের নেতারা এই মেশিন নিয়ে বিরোধিতা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এসব নেতা। যদিও ভোটাররা একবার একটি প্রতীকে ভোট দিলে তা অন্য প্রতীকে যুক্ত হবে- তাদের এমন দাবিকে অপপ্রচার আর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভিএম দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ভোট গ্রহণ ও ফল প্রকাশে তাৎপর্যপূর্ণ এক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। নূন্যতম ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিটে ভোট গণনায় সক্ষম এই যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে ৪-৬ ঘন্টার মধ্যেই পুরো নির্বাচনের ফল ঘোষণা সম্ভব। ফলে বহুল প্রচলিত গভীর রাতের ভোট কারচুপির অভিযোগ থেকে অন্তত রেহাই পাবে বিজয়ীরা। আর নির্বাচনী ব্যয়ও অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ইভিএম মেশিন হ্যাক হওয়ার বা হ্যাক করার সুযোগ নেই। যেহেতু আমাদের ইভিএম ইউনিটগুলো কোন নেটওয়ার্কের আওতায় নেই সেহেতু নেটওয়ার্ক ফিশিং বা সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার হ্যাক করার প্রশ্ন অবান্তর। আবার ইউনিটগুলোতে আলাদা আলাদাভাবে ভোট গণনা করে সেহেতু হ্যাক করতে হলে প্রত্যেকটি ইভিএম ইউনিটকে আলাদা আলাদাভাবে হ্যাক করতে হবে- যা বলা চলে অসম্ভব। আবার আমাদের ইভিএমগুলোতে কোন ব্লুটুথ, ও্য়াই-ফাই ইত্যাদি ওয়ারলেস ডাটা কানেক্টোভিটি মেকানিজম নেই। তাই রিমোটলিও একে হ্যাক করা সম্ভব নয়। তাই ভোটের ফল পাল্টে ফেলারও কোন সুযোগ নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে দৌউলিয়া বিএনপি। সাংগঠনিক শক্তি নেই বললেই চলে। দল গোছানের নামে গত এক যুগ ধরে চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো আরও বিগড়েছে তৃণমূলের নেতারা। এমতাবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে গিয়ে ভরাডুবির চেয়ে গুজব-অপপ্রচারের রাজনীতি করছে তারা। তাছাড়া তারা ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করে অভ্যস্ত। মূলত, জালিয়াতি করার সুযোগ পাবে না বলে ইভিএম নিয়ে বিএনপির এই অপপ্রচার
Daily J.B 24 / News Desk
আপনার মতামত লিখুন: