• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পাচার করা হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে নাগরিকত্ব বদল তারেকের     


Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৩৭ পিএম
পাচার, হাজার, কোটি, টাকা,  নাগরিকত্ব, বদল, তারেক

২০১৫ সালের ১ জুলাই। তারিখটা ভালো করে মনে রাখুন। কারণ এই দিনেই বাঙালি জাতির সাথে চরম প্রতারণামূলক আরেকটি কার্যসিদ্ধি করেছে তারেক রহমান। অথচ বাংলাদেশে অনেকেই এখনও তাকে একজন রাজনীতিবিদ মনে করেন। এমনকি বিএনপি নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটিও এই তারেককেই তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রীতিমতো বৃটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে বসে চুটিয়ে ব্যবসা করছে সে। সেই সঙ্গে ব্যবসার নামে বৈধ করে নিচ্ছে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হাজার কোটি টাকা। 

বৃটিশ নথি থেকে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ১ জুলাই লন্ডনে নিজের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করায় তারেক রহমান। সেখানে নিজের নাগরিকত্বের স্থানে কিন্তু বাংলাদেশি লেখেনি সে, স্পষ্টভাবে লিখেছে বৃটিশ। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে নিরাপদে প্রবাস জীবন যাপনের জন্যই বৃটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছে সে। অথচ সে জানে যে, অন্য দেশের নাগরিক হলে বাংলাদেশে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এরপরও শুধু অর্থের লোভে এই কাজটি করেছে সে। একারণেই নিয়মিত উস্কানি দিয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সাধারণ নাগরিক এবং নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও সহিংসতার মুখে ঠেলে দিচ্ছে ধুরন্ধর তারেক। 

শুধু তাই নয়, হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালট্যান্ট লিমিটেড নামের এই প্রাইভেট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকেও নিয়মিত অর্থ পাচার করছে তারেক রহমান। আর কৌশলে এই টাকাগুলো আদায় করছে দেশব্যাপী বিএনপির কমিটি ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে। একেকটা নির্বাচন মানেই তারেকের রমরমা অবস্থা। 

তারেক রহমান ভালো করেই জানে- গ্রেনেড হামলা, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা, দুর্নীতি, অর্থপাচারের মতো তার জঘন্য অপরাধগুলো আদালতে প্রমাণ হয়ে গেছে। একজন ফেরারি আসামি হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাকে একজন দুর্বৃত্ত, অপরাধী ও ক্ষমতালোভী হিংস্র মাফিয়া মনে করে সবাই। কারণ সে কখনো নিয়মতান্ত্রিক সুস্থ ধারার রাজনীতি করেনি, তাই সুষ্ঠু রাজনীতিতে তার ফেরার সম্ভাবনাও নেই। এমনি সে যে আর কখনো দেশের ফিরবে না, তাও সে ভালো করেই জানে। 

সীমাহীন দুর্বৃত্তায়নের কারণে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সবার আস্থা হারিয়ে চতুর তারেকের সহজ টার্গেট এখন শুধুই আওয়ামী বিরোধী চক্র ও বিএনপির অন্ধ নেতাকর্মীরা। তারা তারেকের কথায় দেশের মানুষের ওপর হামলা করে, ঘর-বাড়ি জ্বালায়, আর নিজের পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। দূর থেকে খুনি তারেক এসব দেখে ক্রূঢ় হাসি হাসে আর ডলার-পাউন্ডের হিসাব কষে। কোনো রাজনীতি নয়, তারেকের নজর থাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

Daily J.B 24 / Newsdesk

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ