• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ইভিএম যাচাই করতে যাবে না বিএনপি : এতদিনের সব অভিযোগ কি বায়বীয়?


Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৫৭ পিএম
ইভিএম, যাচাই, বিএনপি, অভিযোগ, বায়বীয়

বাংলাদেশে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সে ভোটগ্রহণের প্রচলনের মাধ্যমে জনগণের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন সম্পর্কে আরও অধিক স্বচ্ছ ধারণা দিতে বুয়েটের প্রকৌশলী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় অত্যাধুনিক ভোটিং মেশিন। ধাপে ধাপে এর আপগ্রেডেশন করা হয়।

এখন পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ কারচুপি করার মত কোনো উপায় দেখাতে পারেনি কেউ। ইসি কর্তৃক কিছুদিন পূর্বেই ১০ মিলিয়ন ডলারের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হলেও সরকারবিরোধী কোনো পক্ষই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি। তবুও বিএনপি এবং দলের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকরা ইভিএম নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার।

যার প্রেক্ষিতে ইভিএম যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে এতেও সাড়া দেয়নি দলটি। বিএনপি মনে করে, তারা যেখানে এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ নিচ্ছে না, সেখানে ইসি নিয়ে ভাবনাটা অর্থহীন। বরং তাদের মূল লক্ষ্য এখন সরকার পতন। বিএনপির এমন অনীহাতে এটা স্পষ্ট যে, ইভিএম নিয়ে তাদের সকল অভিযোগই বায়বীয়।

দেশে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে প্রয়োজনে তাদের টেকনিক্যাল পারসনসহ ইভিএম যাচাই করে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি।

কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইভিএম যাচাইয়ের জন্য আগামী ১৯, ২১ ও ২৮ জুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল পারসনসহ একটি দল থেকে সর্বোচ্চ চারজনকে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। এদিন তারা ইভিএম খুলে যেকোনোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারবেন।

এই ধারাবাহিকতায় বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ২১ তারিখে। এ বিষয়ে শনিবার বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইভিএম যাচাই কাজে তারা অংশ নিচ্ছেন না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা এ এই কাজে যাচ্ছি না। শুধু এই আমন্ত্রণ না, এ সংক্রান্ত কোনো আমন্ত্রণ নিয়েই বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপির মূল লক্ষ্য এই সরকার হটিয়ে জনগনকে মুক্ত করা। এসব লোক দেখানো কাজ করে চোখে ঠুলি পরানোর আমন্ত্রণে বিএনপি সাড়া দেবে না। এ সরকারের অধীনে সবাই সরকারের আজ্ঞাবহ। তাদের এসব মুখরোচক কথায় বিএনপি ভুলবে না।

আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি ইসির এই আমন্ত্রণে যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি কোনো ব্যক্তির সাথেও কোনোপ্রকার বৈঠক, আলাপচারিতায় বিএনপি অংশ নেবে না। বিএনপি ইসি নিয়েই ভাবছে না। বিএনপির মূল লক্ষ্য সরকারের পতন।

তবে ইসি তো সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদে ইভিএম যাচায় করার সুযোগটাও দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যেখানে নির্বাচনেই অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে ভোট চুরি হলো, রাতে হলো নাকি ভোরে হলো সে নিয়ে ভাবার তো কিছু নেই।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপি মহাসচিবকে ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে, চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি যা জানি, সে অনুযায়ী দল এই আমন্ত্রণে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে।

Daily J.B 24 / Newsdesk

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ