• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ফ্রিডম পার্টি - বিএনপি ভাই ভাই : রাজনৈতিক ছদ্মবেশে একদল সিরিয়াল কিলার


Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৭ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৩৪ পিএম
ফ্রিডম পার্টি, বিএনপি, ভাই ভাই, রাজনৈতিক, ছদ্মবেশ, সিরিয়াল কিলার

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল নরপিশাচ।

এরপর এই হত্যাযজ্ঞের মদতদাতা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সাহায্যে লিবিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি আশ্রয় পায় তারা।

এসময় গাদ্দাফির পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানে দীর্ঘদিন বিলাসী জীবন যাপন করে লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানসহ অন্যান্য খুনিরা।

বর্বর এই খুনিরা স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের সময় নিজেরা ব্যবসা করে ও সরকারি দায়িত্ব পালন করে আবারো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

পরে আরেক স্বৈরাচার এরশাদের সময় দেশে ফিরে, ১৯৮৭ সালে, ফ্রিডম পার্টি নামের একটি দল গড়ে তোলে খুনি রশিদ-ফারুক ও বজলুল হুদারা।

আবারো এই খুনিদের কেন্দ্র করে সংগঠিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিরা।

ফ্রিডম পার্টির নামের এই দলের ছদ্মবেশে নতুন করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা।

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ফ্রিডম পার্টির খুনিরা।

কিন্তু সেই হামলা প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রক্ষা করেন নিরাপত্তারক্ষী ও সমর্থকরা।

নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা গুলিবর্ষণের ফলে খুনিরা এবার সফল হতে পারে না।

ব্যর্থ হয়ে 'ফারুক-রশীদ, জিন্দাবাদ', 'ফ্রিডম পার্টি, জিন্দাবাদ' স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায় তারা।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফ্রিডম পার্টির প্রকাশ্য তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আবারো পুনর্গঠিত হয় ফ্রিডম পার্টির খুনিরা।

২০০৯ সালে আবারো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তারা আত্মগোপনে যায় এবং অন্যান্য দলের মধ্যে মিশে যেতে থাকে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নে শেখ ফজলে নূর তাপসকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় খুনি রশিদের মেয়ে মেহনাজ রশীদ এবং খুনি ডালিমের ছোট ভাই কামরুল হক স্বপনকে আটক করে পুলিশ।

এরপর থেকে কৌশলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ভিড়ে গিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপতৎপরতা চালাতে শুরু করে এই চক্রের অন্য সদস্যরা।

বর্তমানে দেশে এর প্রকাশ্য কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই।

তবে অস্ট্রেলিয়ায় বসে বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে খুনি ফারুকের ছেলে ও এই চক্রের অফিসিয়াল প্রধান সৈয়দ তারিখ রেহমান।

Daily J.B 24 / News Desk

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ